সুপণ্ডিত, প্রকৃত শিক্ষক ছিলেন চাণক্য। আজও আচার্য চাণক্যের বলে যাওয়া কথা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক তা বোঝা যায় চাণক্য নীতির দিকে চোখ রাখলেই। এই উপদেশগুলি জীবনে চলার পথে মেনে চললে উপকার পাবেন। আসুন জেনে নিই….
প্রথমে একটি লক্ষ্য নির্দিষ্ট করতে হয় জীবনে সফল হতে গেলে। সেই ব্যক্তির লক্ষ্য স্থির হয়ে গেলে সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কৌশল তৈরি করা উচিত। দৃঢ় কৌশল থাকা আবশ্যক সাফল্য অর্জনের জন্য। চাণক্য নিজেই উপলব্ধি করেছিলেন যে, একজন ব্যক্তির কিছু বিষয়ে বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত কোনও নতুন কাজ শুরুর আগে। যখন কোনও ব্যক্তি নতুন ব্যবসা শুরু করে বা নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করে, তখন উচিত তাকে খুব গুরুত্ব সহকারে পালন করা।
নিজেকে তিনটি প্রশ্ন করো যেকোনো কাজ শুরু করবার আগে :-
ক. আমি এই কাজটি কেন করতে চলেছি ?
খ. কি হবে এই কাজের ফল ?
গ. এই কাজে আমি কি সফল হব ?
এই তিনটি প্রশ্ন করলে জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত গুলি নিতে পারবে সঠিকভাবে চিন্তা ভাবনা করে।
চাণক্য বলেছেন জ্ঞান হল মানুষের সেরা সম্পদ। সর্বত্র একজন জ্ঞানী ব্যক্তির কদর। মানুষ এই পৃথিবীর সব কিছু অর্জন করতে পারে জ্ঞানের জোরে। তাই জ্ঞানী করে তোলো নিজেকে। জ্ঞান বেশি শক্তিশালী সৌন্দর্য এবং যৌবনের থেকেও। তবে কখনও অন্ধ হওয়া ঠিক বিষয় নয় জ্ঞানের অহংকারে।
সাফল্য লাভ করা খুবই কঠিন বেনিয়ম ও বেহিসাব করে জীবনযাপন করে। একজন ব্যক্তির অবশ্যই উচিত একটি সুশৃঙ্খল জীবন ধারা গ্রহণ করা সাফল্য লাভ করতে গেলে। সফল হওয়া যায়না কাজ ফেলে রাখব এই মনোভাব নিয়ে।
চাণক্যের নীতি অনুসারে,তারা সময়ের গুরুত্ব জানেন যারা সময়ের মূল্য জানেন। তবে স্বীকৃতি দেয় না যারা সময়ের গুরুত্বকে তারা সর্বদা সমস্যায় পড়ে।