Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

আজ গণেশ চতুর্থী! এই রাতে ভুলেও তাকাবেন না চাঁদের দিকে, জীবনে নেমে আসবে ঘোর অমঙ্গল

গোটা দেশে খুবই ধুমধামের সাথে পালিত হয় গণেশ চতুর্থী৷ এই দিনটি বিনয়াক চতুর্থী বা গণেশ পুজোর নামেও পরিচিত। ভারতের পশ্চিম ও মধ্য ভাগে, অর্থাৎ মহারাষ্ট্র, গুজরাত, উত্তর প্রদেশে এই উৎসব পালিত হয় বিশাল আড়ম্বরের সাথে৷ বাড়িতে বাড়িতে অধিষ্ঠিত করা হয় গণেশের মূর্তি। এখন এই রাজ্যেও গণেশ পুজো শুরু হয়েছে পাড়ায় পাড়ায়। এই বছর ২০২১ সালের গণেশ চতুর্থী উদযাপিত হবে ১০ই সেপ্টেম্বর। শুক্রবার পড়েছে এই দিনটি। তবে আজকের দিনে রয়েছে কিছু বিধি নিষেধ। যা অক্ষরে অক্ষরে মানা উচিৎ।

গণেশ পুজোর দিন চাঁদ দেখতে মানা:

গণেশ পুজোর দিন কেউ যেন আকাশের দিকে তাকিয়ে ভুলেও এই কাজ না করেন। কথিত আছে এই দিন কেউ যদি চাঁদ দেখে ফেলেন তাহলে তাঁর জীবনে নেমে আসে ঘোর অমঙ্গল। অভিশপ্ত হতে পারে তার জীবন। চাঁদ দেখা ব্যাক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলার অভিযোগ ওঠে। জীবনে আসে নানান দুর্ভোগ। তাই জীবনে ঘোর বিপদ এড়াতে এই দিন ভুলেও কেউ চাঁদের দিকে যেন না তাকান।

কেন চাঁদ দেখতে নেই:

গণেশ পুজোর দিন কেন চাঁদ দেখতে নেই এই ঘিরে বেশ কয়েকটি কাহিনী শোনা যায়। জানা যায় যেহেতু সর্বপ্রথম গণেশ তারা পিতা মাতা কে পরিক্রমা করেছিলে। তাই গণেশ জননী দুর্গা খুশি হয়ে আশীর্বাদ দেন যে তাঁর পুজো সর্বাগ্রে করা হবে যেকোনও পুজোর আগে। এরপর বাকি সমস্ত দেবতা পুজো পাবে। কিন্তু কথিত আছে গণেশকে দেখে চন্দ্র মজার হাসি হেসেছিলেন। এর কারণ চন্দ্র নিজের রূপে অহংকারী ছিলেন। অন্যান্য দেবদেবীদের মতো চন্দ্র গণেশকে উপাসনা না করে তাকে দেখে হাসায় গণেশ রেগে চন্দ্রকে অভিশাপ দিয়েছিলেন যে আজ থেকে তুমি কালো হয়ে যাবে। এর ফলে চন্দ্র কালো হয়ে যায় আর চাঁদের আলো নিভে যায়। চন্দ্র নিজের ভুল বুঝতে পেরে গজাননের কাছে বারংবার ক্ষমা চায়। তার ক্ষমা প্রার্থনার কারণে গণেশ তাঁকে ক্ষমা করে দিলেও চন্দ্রের রূপের সম্পূর্ন প্রকাশের জন্য একটি সময়চক্র তৈরী করে দেন। যাতে ১৫ দিন বাদে বাদে চন্দ্র একবার সম্পূর্ণরুপে প্রকাশিত হবেন এবং একবার করে অদৃশ্য থাকবেন।

আরেকটি পুরাণ কাহিনী মতে, একবার গণেশ তাঁর বাহন ইঁদুরের ওপর উঠে কোথাও যাচ্ছিলেন। যাওয়ার সময় তার বাহন মুষকরাজ সাপ দেখেন এবং ভয় পেয়ে লাফিয়ে ওঠেন।তখন তার পিঠে সওয়ার গণেশের টাল না সামলাতে পেরে পরে যান। পড়ে যাওয়ার পর এই দৃশ্য দেখে আকাশ থেকে চন্দ্র জোরে জোরে হেসে ওঠে। এই শব্দ কানে আসে গণেশের। চন্দ্রের হাসির শব্দ ছিল এটি। চন্দ্র গণেশ কে উপহাস করে বলেন যে, ছোট শরীর এবং হাতির মাথা! এর ফলে গণেশ ক্ষুব্ধ হয়ে যান এবং তারপর চন্দ্রকে তার সৌন্দর্য নিয়ে অভিশাপ দিয়ে বসেন। গণেশের অভিশাপের কারণে চন্দ্রের রঙ কালো হয়ে যায় এবং চাঁদের আলো নিভে জগৎ অন্ধকার হয়ে পড়ে। তখন চন্দ্র নিজের করা মন্তব্যের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করলে গণেশ তাকে ১৫ দিনের ব্যাবধানে পূর্ণিমা অমাবস্যার নিয়ম বেধে দেন।

Related posts

সরকারি চাকরি পাওয়া মাত্রই করে নিলেন দ্বিতীয় বিয়ে! বিচার চেয়ে প্রথম স্ত্রী থানায়

News Desk

পৃথিবীতে এই শহর কে বলা হয় দাবার শহর! জানেন কোন শহর?

News Desk

আজ ২১শে জুন ,বছরের দীর্ঘতম দিন, সামার সলস্টিস। কেন সারা বিশ্বে বিশেষ এই দিনটি। জেনে নিন

News Desk