প্রত্যেকেই নিজের নিজের কষ্টের দ্বারা অর্জিত টাকা কোনো সুরক্ষিত স্থানে বিনিয়োগ করতে চায়। যাতে ভালো রিটার্নও পাওয়া যায়। কিন্তু লকডাউন সারা বিশ্বেই নিয়ে এসেছে এক অর্থনৈতিক সমস্যা। কোথাও নিজের টাকা বিনিয়োগের আগে ভয় পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ, কারণ এই লকডাউনের কারণে ব্যাংক ও নানা অর্থনৈতিক সংস্থাগুলিও প্রচুর ক্ষতির সন্মুখীন হয়েছে। সুতরাং, অনেক মানুষই এখন তাদের জমানো টাকা কোথায় বিনিয়োগ করবেন, সে বিষয়ে দ্বন্দ্বে রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে পোস্ট অফিসে টার্ম ডিপোজি্ট, রেকারিং ডিপোজি্ট, মাসিক আয় প্রকল্প ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা তাদের জন্য উপযুক্ত। ভারত সরকার সমর্থিত একটি হল পোস্ট অফিসের এমআইএস ৯ টি ছোট ছোট সঞ্চয় প্রকল্পের মধ্যে। মধ্য-মেয়াদী বিনিয়োগের বিকল্প হিসাবে উক্ত প্রকল্পটি কাজ করে; যার মধ্যে, বিনিয়োগকারীদের তাদের আমানত সক্রিয় রাখতে হবে কমপক্ষে ৫ বছরের জন্য। এতে ন্যূনতম ১০০০ টাকা জমা দিয়ে ভাল পরিমাণ অর্থ সুদ সমেত ফেরত পাবেন আপনি প্রতি মাসে এবং আপনার অর্থও এতে নিরাপদ থাকবে।
পোস্টঅফিস মাসিক আয় প্রকল্প (MIS) –
পোস্ট অফিসের মাসিক আয় প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারবেন যে কোনও ভারতীয় নাগরিক। এই স্কিমে বিনিয়োগকারী কোনও একক বা যৌথ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন । এই স্কিমে ১০ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে হলেই বিনিয়োগ করা যেতে পারে বাচ্চার নামেও তবে পিতামাতার নাম রাখতে হবে তার সাথে।
পোস্ট অফিসের মাসিক আয় স্কিমটিতে, আপনি সর্বনিম্ন এক হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ সাড়ে চার লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন একক অ্যাকাউন্টে। তবে সর্বোচ্চ নয় লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যেতে পারে একটি যৌথ অ্যাকাউন্টে। যৌথ অ্যাকাউন্টও খুলতে পারবেন এই প্রকল্পের আওতায় দু’জনের বেশি লোক। সুদের হার ৬.৬ শতাংশ পোস্ট অফিসের এই প্রকল্পে।
কীভাবে পাবেন পাঁচ হাজার টাকা (How to get five thousand rupees per month) –
আপনি সাড়ে চার লক্ষ টাকা বিনিয়োগে বার্ষিক ৬.৬ শতাংশ সুদের হারে ২৯,৭০০ টাকা পাবেন পোস্ট অফিসের মাসিক সঞ্চয় প্রকল্পটিতে। আপনি যদি একটি যৌথ অ্যাকাউন্টের অধীনে ৯ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন একই সময়ে, তবে আপনি বার্ষিক ৫৯,৪০০ টাকা পাবেন। অর্থাৎ প্রতি মাসে আপনি প্রায় ৪,৯৫০ টাকা পাবেন।
সর্বনিম্ন ১০০০ টাকার বিনিয়োগের সুবিধা (Minimum investment benefit of Rs.1000) –
আপনি সর্বনিম্ন ১০০০ টাকা দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন এই স্কিমে। ৫ বছর এই প্রকল্পের পরিপূর্ণ হওয়ার সময়কাল। বিশেষ বিষয় হল এই স্কিমটি ১০০ শতাংশ সুরক্ষিত বিনিয়োগের জন্য সরকারের প্রকল্প হওয়ায় এবং আয়কর থেকেও ছাড় পাওয়া যায় এতে বিনিয়োগ করলে।
