চাঁদনী চকের লাল কেল্লা থেকে দিল্লির বিধানসভা পর্যন্ত গভীর সুড়ঙ্গ রয়েছে! সুড়ঙ্গের কথা বহু দিন থেকে লোকমুখে শোনা যাচ্ছিল।এতদিন তার হদিস কিছুতেই মিলছিল না। তন্ন তন্ন করে খুঁজেও সন্ধান মেলেনি। বৃহস্পতিবার অবশেষে খোঁজ মিলল তেমন একটি সুড়ঙ্গের। দিল্লি বিধানসভা থেকে লালকেল্লা পর্যন্ত পৌঁছানো যাবে ওই সুড়ঙ্গ দিয়ে। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।
দিল্লি বিধানসভার একটি ঘরে প্রথম সুড়ঙ্গমুখটি দেখতে পাওয়া যায়। কৃত্রিম সবুজ ঘাসের কার্পেট কেটে উদ্ধার হয় সুড়ঙ্গের লোহার দরজা। সেটি সরাতেই দেখা মেলে ওই গভীর সুড়ঙ্গের। ওই সুড়ঙ্গ নিয়ে স্বভাবতই কৌতূহল জন্মেছে। কেন এই সুড়ঙ্গ তৈরি হয়েছিল, তা নিয়ে বিস্তর জল্পনাও চলছে। ইতিহাসবিদদের অনুমান, প্রায় ১০০ বছর আগে তৈরি করা হয়েছিল সুড়ঙ্গটি।
দীর্ঘদিন কোনো রকম রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়া পড়ে থাকায় সুড়ঙ্গ পথটি কী অবস্থায় রয়েছে, বা সেটি আদৌ যাতায়াতের উপযুক্ত রয়েছে কি না, তা অনুমান করা যাচ্ছে না। দিল্লি বিধানসভায় অধ্যক্ষ রাম নিবাস জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গটি ব্রিটিশ আমলের। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের হাত থেকে বাঁচার জন্য এই গোপন টানেলটি ব্যবহার করতেন ব্রিটিশরা। অথবা হাত থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় বিপ্লবী বাহিনীর পাল্টা প্রত্যাঘাত এড়াতে ব্যবহার করা হত এই সুড়ঙ্গ। যার ফলে কোনো বন্দির পালানোর সুযোগও থাকত না। সুড়ঙ্গ পথে আবার বন্দিদের থাকার ঘরও রয়েছে বলে অনুমান ইতিহাসবিদেদের। যদিও সেই ঘর পর্যন্ত এখনও পৌঁছানো যায়নি। সবেমাত্র সুড়ঙ্গের মুখের সন্ধান মিলেছে।
তবে এত দিন পর পাওয়া এই সুড়ঙ্গ নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই টানেলটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। সুড়ঙ্গটি মেরামত করে জনসাধারণের দেখার জন্য খুলে দেওয়ার কথা ভাবছে দিল্লি সরকার। তবে এখনই খুঁড়ে দেখা হবে সম্ভব নয় বলে জানা গিয়েছে। কারণ বিভিন্ন উন্নয়ণমূলক কাজের জন্য সুড়ঙ্গের পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সুড়ঙ্গের শেষে পৌঁছতে গেলে অনেক খোঁড়াখুড়ির প্রয়োজন।