সামনের ৭ সেপ্টেম্বর কৌশিকী অমাবস্যা। তবে করোনা অতিমারি আর আসন্ন তৃতীয় ঢেউয়ের কথা মাথায় রেখে গতবছরের মতো এবছরও বন্ধ থাকবে তারাপীঠ মন্দির। আজ শুক্রবার থেকেই ভক্তদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে মন্দিরের প্রবেশ। টানা ছ’দিন মন্দিরে ভক্তদের মন্দিরে প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ রাখা হচ্ছে। বন্ধ থাকছে সব সেখানকার সব হোটেলও। প্রতিবছর কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষ্যে তারাপীঠে হয় প্রচুর ভক্ত সমাগম। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ভিড় থেকে যাতে গোষ্ঠী সংক্রমন না ছড়িয়ে পরে তা এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বীরভূম জেলা প্রশাসন এবং তারাপীঠ মন্দির কমিটি।
উল্লেখ্য প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত কৌশিকী আমাবস্যায় আসেন তারাপীঠ মন্দিরে। দূরদূরান্ত থেকে ভীড় জমান সাধারণ মানুষ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এই রাজ্য এবং পাশাপাশির জেলায় বর্তমানে দাপট কিছুটা কম করলেও হলেও দরজায় কড়া নাড়ছে করোনা তৃতীয় ঢেউ (Coronavirus Third Wave)। এই রকম কোনো অবস্থার যাতে সৃষ্টি না হয় এই কারণে আগেই প্রশাসনিক বৈঠক করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে ৩ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে তারাপীঠ মন্দির। তাই আজ থেকেই আর মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবে না কোনো পুণ্যার্থী।
তবে মন্দির না খুললেও চলবে নিত্য পুজো এবং আচার অনুষ্ঠান মেনে অন্যান্য পূজার্চনা। এমনটাই জানানো হয়েছে তারাপীঠ মন্দির কমিটির সম্পাদক ধ্রুব চট্টোপাধ্যায় (Daily puja will continue) তরফে। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, বাড়ি তে বসেই যদি কোন ভক্ত পুরোহিত বা সেবায়তের মাধ্যমে মন্দিরে মায়ের পুজো দিতে চান তা দিতে পারবেন। ডিজিটালি ভক্তরা বাড়িতে বসেই সারতে পারবেন মায়ের দর্শন সেবাইতদের মাধ্যমে।
মন্দির বন্ধ রাখা বিষয়ে মন্দির কমিটির “কৌশিকী অমাবস্যায় লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাবেশ হয়। তাই করোনা অতিমারির সময় কৌশিকী অমাবস্যায় মন্দির খোলা থাকলে রয়েছে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা। সেই কারণে পুণ্যার্থীদের জন্য মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে রীতি মেনে মায়ের পুজো হবে। পুণ্যার্থীরা যাতে বাড়িতে বসেই মায়ের দর্শন ও পুজো দেখতে পারেন তার জন্য মন্দিরের গর্ভগৃহের বাইরে দুটি জায়েন্ট স্ক্রিন বসানো থাকবে। সেখান থেকে মায়ের পুজো লিবে দেখতে পারবেন ভক্তরা।”