নীল রঙের ফুল বিশাল পাহাড় জুড়ে ফুটে আছে। প্রকৃতি ঠিক যেন নীল চাদর বিছিয়ে রেখেছে। এ যেন প্রকৃতির অপরূপ এক আশির্বাদ। তার রঙের বাহার যেমন, তার আকর্ষণ তেমন। নামটাও নয় খুব সাদামাটা । নীলকুরিঞ্জি। এটি যেকোনো সাধারণ ফুল ভাববেন না আবার! একবার ফুটলে দূরদূরান্ত থেকে এই ফুল দেখতে ছুটে আসে মানুষ। তার কারণও আছে। কেন-না এ ফুল ফি বছর দেখা যায় না। প্রতি ১২ বছরে একবার নীলকুরিঞ্জি ফোটে। এই ফুলের আশ্চর্য কথা, আসুন শুনে নিই।
সম্প্রতি কিছু ছবি শেয়ার করেছে কর্নাটক স্টেট ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট। যেখানে দেখা যাচ্ছে, এই বিরল নীলকুরিঞ্জি ফুলে এ বছর পাহাড় ছেয়ে রয়েছে। প্রধানত নীলকুরিঞ্জি এর নাম নীলগিরি পাহাড় অঞ্চলের ফুল বলে। নীলচে বেগুনি দেখতেও। সাধারণত একটু উঁচু জায়গাতেই এই ফুল ফোটে। সাধারণত ফোটে ১৩০০-২৪০০ মিটার উঁচুতে। অর্থাৎ পাহাড়ি এলাকায় মূলত। অনেকে এই ফুলকে ‘ফ্লাওয়ার অফ লাভ’ বা ভালোবাসার ফুল বলে । স্থানীয়রা আদর করে কুরুঞ্জি নামে ডাকেন। আর যেহেতু তার নীল বরণ , তাই নীলকুরিঞ্জি ফুল ডাকনাম হয়ে গিয়েছে। বিখ্যাত পশ্চিমঘাট পর্বতমালা এই ফুলের জন্য। দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন সৌন্দর্যপিপাসু মানুষ এই ফুল ফোটার খবর পেয়ে। এই ফুল সাধারণত যে বছর ফোটে, সে বছর জুলাই থেকে নভেম্বরের ছেয়ে যায়। ফুলে ফুলে গোটা উপত্যকা ছেয়ে যায়। নীল-রঙা ফুলের সমুদ্র যেন। আর মানুষ সেই দেখতেই ছুটে আসেন । অনেকে বলেন, নীলগিরি নাম হয়েছে ফুলে ফুলে নীল হয়ে যায় বলেই। নীলকুরিঞ্জি ফুল ফুটলে মৌমাছির আধিক্য বহু গুণ বেড়ে যায় নীলগিরির বিস্তীর্ণ এলাকায়। নীলকুরিঞ্জির মিষ্টি গন্ধ এবং ফুলে মধুর আধিক্যই এর অন্যতম কারণ উদ্ভিদ বিজ্ঞানী এবং ভূ-বিজ্ঞানীদের মতে।
এই ফুল ফোটে শুধু কর্ণাটকই নয়, কেরালা, তামিলনাড়ুতে। সব স্থানেই এই ফুল প্রতি ১২ বছরে একবার করেই ফোটে। এই ফুলের প্রস্ফুটন দেখে দিন মাস বছর গণনা করে তামিলনাড়ুর পালিয়ান উপজাতিরা।