অ্যাসিডিটির সাথে পরিচিত নয় এমন মানুষ মেলা ভার। কোনো না কোনো সময় প্রায় সকলেই ভোগেন পেট জ্বালাপোড়া কিংবা অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। কারও কারও জন্য এটাতো রোজকার ঘটনা। বেশির ভাগ বাঙালিরই গ্যাস অম্বলের সমস্যা রয়েছে। অল্প কিছু ভাজাভুজি বা কোনো ভাজা পোড়া ফাস্ট ফুড খেলেই শরীরে তরী অ্যাসিড রিফ্লাক্স তৈরি হয়।
কি ভাবে বুঝবেন অ্যাসিড হয়েছে…
গলার কাছে কিছু একটা যেন আটকে রয়েছে এমন অনুভূতি
গলা জ্বালা বা বুক জ্বালা
বার বার অস্বস্তিকর ঢেকুড় তোলা
মুখ দিয়ে হজম না হওয়া খাবারের বাজে গন্ধ বেরোনো
অ্যাসিডের সমস্যা থেকে বাঁচতে মুঠো মুঠো ওষুধের উপর মানুষকে অনেক সময় নির্ভরশীল হতে হয়। তাতেও অনেক সময় এই গলা বুক জ্বলা পোড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। কোনো খাবার খাওয়ার আগেও সাত পাঁচ ভাবনা চিন্তা চলে। ভাবতে হয় খাবারটি খেলে কোনও সমস্যা হবে শরীরে। তবে এই অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে সমাধানের বেশ কিছু ঘরোয়া উপায় আছে। দ্রুত কোনো ওষুধ ছাড়া এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে জেনে নিন কি করবেন-
পুদিনা পাতা: অ্যাসিডিটি থেকে প্রাকৃতিক উপায়ে মুক্তি দিতে জুড়ি নেই পুদিনা পাতার। জল দিয়ে কিছু পুদিনা পাতা ফুটিয়ে রেখে খাবার পরে এক গ্লাস করে সেই পুদিনার জল খাওয়া যেতে পারে।
ঠান্ডা দুধ: দুধ গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড এর সমস্যা দূরীকরণে সাহায্য করে। দুধ রয়েছে ভরপুর ক্যালসিয়াম, যা পেটে অ্যাসিড গঠনে বাধা দেয়। তাই অ্যাসিডিটির সমস্যা হলে এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করুন। এই ঠান্ডা দুধ অ্যাসিডিটি নিরাময় করতে সাহায্য করবে।
বাটার মিল্ক: অনেক সময় অনুষ্ঠান বাড়িতে খাবার পরে বাটার মিল্ক রিফ্রেশিং ড্রিংক হিসাবে দেওয়া হয়ে থাকে। কেন এই বাটার মিল্ক দেওয়া হয়ে থাকে জানেন? কেনোনা বাটার মিল্ক অ্যাসিডিটি নিরাময়ে সাহায্য করে, যা অনেকেরই হয়ত জানেন না। তাই কখনো যদি ভারী বা বেশি মশলাযুক্ত জাঙ্ক খাবার খেয়ে ফেলেন তারপরে বাটার মিল্ক খেয়ে দেখতেই পারেন। দেখবেন আর অ্যাসিড দুর করতে আর অ্যান্টাসিড লাগছে না।
লবঙ্গ: অ্যাসিডের সমস্যায় বুক গলার জ্বলুনি কমাতে লবঙ্গে প্রাকৃতিক গুণ আছে। গলা বুক জ্বলা করলে একটি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চিবোতে পারেন।
মৌরি- ভীষণ উপকারী মৌরিতে আছে কপার, আয়রন, পটাসিয়াম, সেলেনিয়াম, জিংক ও ম্যাগনেসিয়াম এর মত খনিজ। মৌরি হজম ক্ষমতা বাড়ায় এবং পেটের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। অ্যাসিড হলে কিছু পরিমাণ মৌরি মুখে দিয়ে চিবালে উপকার পাওয়া যেতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদি অ্যাসিড থেকে নিস্ক্রমন পেতে জলে কিছু মৌরি ফেলে ফুটিয়ে রাতে রেখে দিতে হবে। পরের দিন পান করুন। অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর হবে।