মাদকের নেশার ঘোরে যৌন উত্তেজনা উঠেছে চরমে। সঙ্গমে লিপ্ত হতে চাইছে মন! অথচ সেই চূড়ান্ত মুহূর্তে কাছে নেই কন্ডোম (Condom)। নেশাগ্রস্ত মস্তিষ্কে শেষে কাছে কিছু না পেয়ে চরম উত্তেজনার মুহূর্তে যৌনাঙ্গে আঠা লাগিয়ে নিলেন যুবক। মাতলেন যৌন সঙ্গমে। আর তাতেই হল মারাত্মক প্রতিক্রিয়া। কিছুক্ষণ দেই অসুস্থ হতে থাকেন ওই যুবক। শারিরীক অবস্থার অবনতি হয়। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় তাঁর।
ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের আহমেদাবাদে। ওই যুবকের নাম সলমন মির্জা। সম্প্রতি তিনি এক বান্ধবীর সঙ্গে আহমেদাবাদের একটি হোটেলে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী বা প্রেমিকাও। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জানতে পারে, দুই জন মহিলাকে নিয়ে হোটেলে এসেছিল সলমন। একজন মহিলা এর অল্প সময় পরেই স্কুটি নিয়ে হোটেল ছেড়ে চলে যায়। অপর যুবতী যে কিনা সলমনের প্রাক্তন স্ত্রী বলে জানিয়েছে পুলিশ ওই হোটেলের রুমে ছিলেন সলমনের সাথে। তারা উভয়েই নানা ধরনের মাদক দ্রব্যে আসক্ত ছিল। হোটেলের ঘরে তাঁরা মাদক নেওয়া শুরু করেন। সেই সময়ে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তাদের যৌন ইচ্ছা আসে। মিলনে লিপ্ত হতে যান তাঁরা। কিন্তু খেয়াল পরে যে, তাঁদের কাছে কোনও গর্ভ নিরোধক বা কন্ডোম নেই। তখনই সলমন আঠা দিয়ে নিজের যৌনাঙ্গের মুখ বন্ধ করে নেন। পুলিশের ধারণা সম্ভবত ওই আঠা মাদক নেওয়ার কোনো কাজে ব্যাবহার করতেন ওই যুবক। এরপর ওই হোটেলের রুমে উদ্দাম সেক্সে মেতে ওঠেন দু’জনে। কিছুক্ষণ পরেই সেখানেই অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন সলমন। ভয় পেয়ে তার সাথের যুবতী বাকিদের খবর দেন।
পরে সলমনের পরিচিতরা সেখানে পৌঁছে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সলমনকে প্রাণে বাঁচানো যায়নি। সলমনের পরিবারের লোকজন এই ঘটনার পরে অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে আহমেদাবাদ পুলিশ। জানা গিয়েছে, এই ঘটনার পর সলমনের দেহে একাধিক অঙ্গ অকেজো হয়ে গিয়েছিল। মাল্টি অর্গান ফেলিয়র হয়ে তার মৃত্যুও হতে পারে। প্রাথমিক ভাবে তদন্তের পর পুলিসের ধারণা, যৌনাঙ্গের মুখ আঠা লাগিয়ে বন্ধ করে রাখাতেই সলমনের শরীর অবনতি হয় এবং তা থেকেই মৃত্যু।