ভালবাসা একেই বলে। আর মানুষ তার জন্য কী না করতে পারে। পরীক্ষা দিতে ভয় প্রেমিকার! উদ্ধারে প্রেমিক স্বয়ং এগিয়ে এসেছিলেন। পরীক্ষার হলে ঢুকলেন প্রেমিক প্রেমিকার বদলে। প্রেমিকার মতো সেজেছিল নিজেই । মাথায় পরচুল, মেয়েদের মতো পোশাক, কানের, বেশভূষায় নিখুঁতভাবে। এমনকী, তিনদিন প্রেমিকা সেজে নিজেকে সাজিয়েছিলেনও পরীক্ষা দিলেও ধরতে পারেননি অধ্যাপকরা। কিন্তু সে চতুর্থ দিনে ধরা পড়ল। চতুর্থদিনে সন্দেহ হয় পরীক্ষকের। তিনি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে তল্লাশি চালাতেই ফাঁস হয়ে যায়। সেনেগালের গ্যাস্টন বার্জার বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। খাদিম এমবুপ ওই যুবকের নাম ।
কেন এমন করলেন?
এমন সিদ্ধান্তের কারণ প্রেমিকার প্রতি সীমাহীন ভালবাসাই । সেনেগালে ঘটনাটি ঘটেছে। গ্রেপ্তার হওয়া যুবকের নাম খাদিম এমবুপ (২২)। তিনি গ্যাস্টন বার্জার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। পরীক্ষার হলে যখন তিনি ধরা পড়েন, তখন মেয়েদের পোশাক তো ছিলই তাঁর পরনে। মেয়েদের মেক আপও ছিল তার সঙ্গে মুখে। মাথা স্কার্ফে ঢাকা ছিল। এমনকি পোশাকের নীচে মেয়েদের অন্তর্বাসও পরেছিলেন এমবুপ। পুলিশকে ওই যুবক জানিয়েছেন, ১৯ বছরের প্রেমিকা গাঙ্গু ডিওম ভয় পেয়েছিলেন, পরীক্ষায় বসলে পাশ করতে পারবেন না।
পুলিশের দাবি, খাদিম দোষ স্বীকার করেছেন। জানিয়েছেন, এই কাজ করেছেন প্রেমিকাকে ভালবেসেই । এই ঘটনায় পুলিশ ওই ছদ্মবেশী প্রেমিক এবং তাঁর প্রেমিকা দুজনকেই গ্রেপ্তার করেছে। আদালতে দুজনের অপরাধ প্রমাণ হলে কোনও পরীক্ষায় বসতে পারবেন না তাঁরা আগামী পাঁচ বছর। এই কাজ করা কি ঠিক হয়েছে এতটা ঝুঁকি নিয়ে? প্রশ্নের জবাবে প্রেমিক বলেছেন, ‘ এই কাজ করেছি প্রেমিকার প্রতি ভালবাসা থেকেই।’