তালিবানরা (Taliban) কাবুলের দখল নিয়েছে। শীঘ্রই সমগ্র আফগানিস্তান (Afghanistan) জেহাদিদের দখলে যেতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে আফগানবাসী চরম আতঙ্কে । কাবুল (Kabul) ছাড়ার তোড়জোড় ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। চূড়ান্ত হুড়োহুড়ি কাবুল এয়ারপোর্টে। প্রায় অস্বাভাবিক অবস্থা। হাজার হাজার জনতা বিমানবন্দরে ছুটেছেন। তাঁরা কোনও রকমে বিমান ধরতে চাইছেন। অন্তত পাঁচ জনের বিমানবন্দরে এই অরাজকতার মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
কাবুলে রবিবার দুপুর থেকে তালিবান ঢুকতেই রাজধানীর বিমানবন্দরে ভিড় জমতে শুরু করে। পরিবেশ আতঙ্কের। বিশ্বের বহু দেশ আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া-সহ তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। আফগান নাগরিকরাও দেশ ছেড়ে পালাতে চাইছিলেন।আফগানদের মধ্যে প্রাণে বাঁচতে তাই দেশ ছাড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে । হাজার হাজার মানুষ কাবুল বিমানবন্দরের দিকে ছুটে যাচ্ছেন। সেই ছবি সোমবার সকালেও ধরা পড়ে। নেটমাধ্যমে আফগান নাগরিকদের শেষ সম্বল নিয়ে হুড়মুড়িয়ে বিমানে ওঠার দৃশ্য ভাইরাল ।
সোমবার টুইটে আতঙ্কের ছবি শেয়ার করেন সেদেশের সাংবাদিক জাওয়াদ সুখানওয়ার । তিনি বিমানবন্দরে জনসমুদ্রের ভিডিও শেয়ার করে লেখেন, “আরও একটি দিনের শুরু কাবুলে। জনসমুদ্র কাবুল বিমানবন্দরের দিকে ।” ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে হাজার হাজার মানুষ বিমানবন্দরের দিকে দৌড়ে যাচ্ছেন। আঁতকে ওঠার জোগাড় ওই ভিডিও দেখে। হাজার হাজার মানুষ রানওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা বিমান ঘিরে রয়েছেন। তাঁরা রীতিমতো মারামারি করে বিমানে ওঠার চেষ্টা করছেন। কীভাবে মাটি ছেড়ে বিমান আকাশে উড়বে তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল সংশয়।
শূন্যে চলে গুলি ভিড়ের মাঝেই। এদিকে, অসামরিক বিমান পরিষেবা কাবুল বিমানবন্দর থেকে বন্ধ। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কাউকে বিমানবন্দরে ভিড় না জমানোর আরজি জানিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে দেশ ছাড়ার বিষয়ে। সবাই হুড়োহুড়ি শুরু করেন গুলির আওয়াজ পেয়েই। অনেকেই বিমানে ওঠার চেষ্টা করেন। আবার অনেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর সেই সময়ই।