জিন্স প্যান্ট হলো তরুণ প্রজন্মের অন্যতম প্রিয়। মুলত তখন ডেনিম পরতেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিকরা। পরবর্তীকালে এই জিন্স ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হয়ে ওঠে। জিন্স অনেকেই পরেন। একটি ছোট পকেট দেখা যায় জিন্সের প্যান্টে অন্য পকেটের পাশাপাশি। হ্যাঁ, বড় পকেটের সঙ্গে ভেতরের দিকে যুক্ত ছোট্ট পকেটটির কথাই বলছি জিন্স প্যান্টের। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে-সেটি আদতে কেন দেওয়া হয়?এই পকেটটির কোনো ব্যবহার না থাকায়। আমরা বিভিন্নভাবে পকেটটি ব্যবহার করে থাকি একেকজন নিজেদের অভ্যাস আর কাজ অনুযায়ী। কখনো কি মনে এই প্রশ্ন জেগেছে, এই পকেটটি আসলে জিন্সের প্যান্টে কী জন্য রাখা হয় ? সেটি কি নেহাতই ডিজাইনের দরকারে, নাকি বিশেষ কোনো কারণ আছে আসলে?
কেউ কেউ হয়তো খুচরা পয়সা বা একেবারেই ছোটখাটো জিনিস রাখেন এতে। কিন্তু এই পকেট ব্যবহারই করেন না বেশির ভাগ মানুষ। কারণ, পকেটটা এতই ছোট যে সম্ভব নয় কোনো কিছু রাখা। তা হলে রহস্যটাই বা কী এই পকেট রাখার? আসলে এর পেছনে এক গল্প লুকিয়ে আছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক।
ইতিহাস বলে এই ছোট পকেটটি ছিল জিন্সের প্যান্ট প্রচলনের শুরু থেকেই। মাঠে কঠিন পরিশ্রম করেন রোদে পোড়া তামাটে চেহারার কাউবয়রা। সাহেবী কেতার লোকজনের মতো প্যান্ট না পরে তাদের পছন্দের প্যান্ট ছিল তখন জিন্সের প্যান্ট। আর আদতেই তখনকার সময়ে সেটি ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ১৮০০ সালের কথা। সেসময় ঘড়ি হাতে নয়, বরং রীতি ছিল পকেটে রাখার । সেগুলোকে বলা হয় “পকেট ওয়াচ”। তারা তাদের ওয়েস্টকোটে ঘড়ি রাখত। কিন্তু সে ক্ষেত্রে ঘড়ি ভেঙে যাওয়ার ভয় থাকত বেশির ভাগ সময়েই। ঘড়িকে সুরক্ষিত রাখার জন্য তখন থেকেই এই পকেটের আবির্ভাব জিন্সের প্যান্টে। পকেটে ঘড়ি রেখে চেইনের সাহায্যে বেঁধে রাখা হতো বেল্টের সঙ্গে। লেভিস এই পকেট প্রথম চালু করে।
বর্তমানে ভিন্টেজ ওয়াচের চল আর আগের মতো নেই হাতঘড়ির জনপ্রিয়তা বাড়ার পর। তবে ইতিহাসের পকেটটি সাক্ষী হয়ে রয়ে গেছে।