ভাইরাসের কণা ছড়িয়ে পড়তে পারে হাঁচি-কাশির সময় নির্গত ড্রপলেট থেকে , এখন প্রায় সকলেই জানি এ কথা। তাই বেশির ভাগ মানুষেরই এখন অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে বাড়ির বাইরে বেরলেই মাক্স পরাটা। কিন্তু শুধু কি তাই আপনি আক্রান্ত হতে পারেন কোভিডে পাবলিক টয়লেট বা অফিসের টয়লেট থেকেও।
বাথরুমে বা টয়লেটে জলের ছিটের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনাভাইরাস ফ্ল্যাশ করার সময়ও ! সম্প্রতি বিজ্ঞানীদের গবেষণায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে ।
তারা বলছেন, করোনাভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা আছে কমোডে ফ্ল্যাশ করলে । সাম্প্রতিক চিনের ইয়াংজু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশিত হয় এক প্রতিবেদনে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনা গবেষকদের দাবি, করোনাভাইরাস মানুষের পাচনতন্ত্রে বেঁচে থাকতে পারে। শুধু তাই নয়, ভাইরাসের কণা আক্রান্ত ব্যক্তির মলেও থাকতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হবে টয়লেটে ফ্ল্যাশ করার সময়ও। না হলে সূক্ষাতিসূক্ষ জলকাণার সঙ্গে বাতাসে ছড়িয়ে পড়তে পারে ভাইরাস কণা ফ্ল্যাশ করার সময়। ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
তাই এমন পরিস্থিতে টয়লেটে ফ্ল্যাশ করার আগে তার সিট কাভারটি ঢেকে দিতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ফ্ল্যাশ করা যেতে পারে তার পর। এ ভাবে করোনার সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব হবে টয়লেট থেকে । একই সঙ্গে শৌচালয়ের দরজার হাতল, কমোডের লিড বা ঢাকনা পরিষ্কার করে নিতে হবে ব্যবহারের আগে। চিনা গবেষকরা জানান, টয়লেটে ফ্ল্যাশ করার সময় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি ঠিক কতটা, এখনও সঠিক ভাবে কিছু জানা জায়নি সে বিষয়ে।
গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, টয়লেটে ফ্ল্যাশ করার সময় ৪০-৫০টি বায়বীয় কণা বাতাসে ভেসে বেড়ায় এবং আরও বেশি বায়বীয় কণা ছড়িয়ে পড়ে বারবার ফ্ল্যাশ হলে। ফলে, আরও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে বেশি করে। তাই বিশেষজ্ঞেরা কমোডে বসার জায়গাটি ভালো করে ধুয়ে নেওয়ার কথা বলছেন। বিশেষত যেখানে টয়লেট বেশি ব্যবহৃত হয় করোনাভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি বেশি থাকে সেখানে । বিশেষত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বা যে বাড়িতে সদস্য সংখ্যা বেশি, সেখানে যদি একটি টয়লেট অনেকে ব্যবহার করেন, তবেআরও বেশি হতে পারে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার মাত্রা । তাই আবশ্যক ঢাকনা বন্ধ করা ।