Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

কুস্তিতে ফাইনালে রবি কুমার দাহিয়া, সেমিফাইনালে পরাজিত মহিলা হকি দল, ব্রোঞ্জ পেলেন লাভলিনা

কিছু জয়, কিছু পরাজয়। কোথাও আশার আলো, কোথাও হতাশা, সব মিলিয়ে আজকের দিনটা মিশ্র গেল অলিম্পিকে ভারতীয়দের।

টোকিও অলিম্পিকের (Tokyo Olympics 2020) মঞ্চে আরো একটি পদক নিশ্চিত হল ভারতের। ছেলেদের কুস্তিতে ৫৭ কেজির বিভাগে কোয়ার্টার ফাইনালে কাজাখস্তানের নুরিস্লাম সানায়েভকে পরাজিত করে ফাইনালে পৌঁছলেন ভারতের রবি কুমার দাহিয়া (Ravi Kumar Dahiya)। সেইসঙ্গে ভারতের হয়ে অন্তত রূপোর (Silver Medal) পদক নিশ্চিত করলেন রবি কুমার দাহিয়া। অলিম্পিকে এই নিয়ে ভারতের হয়ে চতুর্থ পদকও নিশ্চিত হয়ে গেল। কুস্তিতে সোনার পদক জেতার উদ্দেশ্যে ফাইনাল ম্যাচে খেলতে রবি নামবেন ৫ অগাস্ট।

এর আগে ফাইনালে খেলতে নেমে বক্সিংয়ে ব্রোঞ্জ জিতলেন অসমের লাভলিনা বরগোহাঁই। মহিলাদের বক্সিংয়ে ওয়েল্টারওয়েট (৬৯ কেজি) বিভাগের সেমিফাইনালে তুরস্কের বুসেনাজ সুরমেনেলির বিপক্ষে হেরে টোকিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জিতে আনলেন অসমের মেয়ে লাভলিনা বরগোহাঁই (Lovlina Borgohain)। সেমিফাইনালে ওঠা লাভলিনার ব্রোঞ্জ পদক আগে থেকেই নিশ্চিত ছিল, এবার সেই পদক সোনা বা রূপো হবে কী না সেটারই অপেক্ষা ছিল। আজ বিশ্বসেরা বক্সারের কাছে পরাজিত হয়ে টোকিও অলিম্পিকে দেশকে ব্রোঞ্জ পদক এনে দিলেন লভলিনা। লাভলিনার এটাই ছিল প্রথম অলিম্পিক। তাতেই সাফল্য এল।

টোকিও অলিম্পিকে খুব ভালো খেলেও তীরে এসে তরী ডুবল ভারতীয় মহিলা হকি দলের। সেমিফাইনালে হারলেও তাদের পারফরম্যান্সের প্রশংসায় মুখর হয়েছে সমস্ত দেশবাসী। মেয়েদের হকিতে ইতিহাস রচনা করা মহিলা হকিদলের পাশে দাঁড়ালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ম্যাচ শেষে ফোনে কথা বললেন দলের অধিনায়ক এবং কোচের সঙ্গে। সেমিফাইনাল হেরে গেলেও ব্রোঞ্জ পদক জয়ের আশা রয়েছে এখনও ভারতের মহিলা হকি দলের। প্রতিযোগিতার তৃতীয় স্থান নির্ধারক ম্যাচে ব্রিটিশ মহিলা দলের বিরুদ্ধে খেলবে ভারতের মহিলা হকি দল।

চলতি অলিম্পিকে ভারতের পদক সংখ্যা এই নিয়ে দাঁড়াল তিন। ভারোত্তলনে রুপো এনেছেন মীরাবাঈ চানু, ব্যাডমিন্টন সিঙ্গলসে ব্রোঞ্জপদক এনেছেন পিভি সিন্ধু, আর বক্সিংয়ে লাভলিনার ব্রোঞ্জ এল। এরপর অন্তত রূপো নিশ্চিত করলেন কুস্তিগীর রবি কুমার দাহিয়া।

এদিকে, ভারত স্বাধীনতা লাভের পর অলিম্পিকে অ্যাথলেটিক্সে প্রথম পদক জয়ের সবচেয়ে বাজি এল নীরজ চোপড়ার হাত ধরে। জ্যাভলিন থ্রোয়ার হিসাবে প্রথম প্রচেষ্টাতেই ফাইনালে কোয়ালিফাই করলেন তিনি। আর তার সঙ্গেই জিইয়ে রইল পদক জয়ের আশা। প্রথম চেষ্টাতেই জ্যাভলিন ছুঁড়লেন ৮৬.৬৫ মিটার। ফাইনালে উঠতে গেলে মাপকাঠি ছিল ৮৩.৫০ মিটারের। কিন্তু সেখানে প্রথম প্রচেষ্টাতেই ৮৬.৬৫ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন ছোঁড়েন নীরজ। সাথে সাথেই ফাইনালে নিজের স্থান নিশ্চিত হয়ে যায় তার। আগামী ৭ অগাস্ট ফাইনালের লড়াইয়ে নামবেন নীরজ। নীরজকে নিয়েই আশায় থাকছেন সমস্ত ভারতবাসী।

Related posts

ওমিক্রনের উপপ্রজাতি ওমিক্রনের থেকেও ভয়াবহ? সতর্কবার্তা জারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

News Desk

নৃশংস! মা, বাবা, বোনকে খুন করে ছাত্রছাত্রী দের ডাকে রক্ত মাখা অবস্থায় দরজা খোলেন গৃহশিক্ষক

News Desk

শরীরের কোথায় তিল থাকলে কি হয়? তিলের অবস্থানই বলে দেবে আপনার ভাগ্য! জেনে নিন

News Desk