Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
স্বাস্থ্য

রাতে দুঃস্বপ্ন আসে ঘন ঘন! বার বার ভেঙ্গে যায় ঘুম, রইল দুঃস্বপ্ন থেকে মুক্তির কিছু উপায়

কর্মব্যস্ত এবং যান্ত্রিক জীবনে আমাদের কাছে নিজেদের জন্য একেবারেই সময় নেই। নিজেদের শরীর, স্বাস্থ্য, ঘুম, খাওয়া-দাওয়া কোনও কিছুর দিকেই নজর দেওয়ার সময় আমাদের হাতে নেই। কিন্তু সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পর রাতে যদি ভালো করে না ঘুম হয়, তাহলে পরের দিন ফের কাজ করার এনার্জি পাওয়া যায় না। তাই সারাদিনের শেষে ভালো ঘুম খুবই জরুরি।

ঘুমনোর সময় বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। এর কারণ অনেকটা দুঃস্বপ্ন। ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্ন দেখার সমস্যা অনেকেরই আছে। খারাপ কোনও স্বপ্ন দেখে হঠাত্‌ ঘুম ভেঙে গেলে তা শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। এই সমস্যারও সমাধান রয়েছে।

অন্তত এক ঘণ্টা আগে স্মার্টফোন বাদ

আমরা সবাই ক্ষতিকর নীল আলো সম্পর্কে জানি। এটি আমাদের ঘুমের চক্রকে ধ্বংস করে দেয়। কিন্তু আমাদের মধ্যে কতজন আসলে এই নিয়ম মেনে চলে? এরপর দুঃস্বপ্ন দেখে জেগে উঠলে খেয়াল করুন, ঘুমাতে যাওয়ার কতক্ষণ আগে স্মার্ট ফোনটি দূরে রেখেছিলেন? ডিজিটাল ডিভাইস থেকে নির্গত নীল আলো আসলে মেলাটোনিনের উৎপাদনের সাথে মিশে যায়। মেলাটোনিন হলো এমন একটি হরমোন যা আপনার ঘুমকে নিয়ন্ত্রণ করে।

সন্ধ্যার পর কফি বা চা নয়

দুঃস্বপ্ন থেকে দূরে থাকতে চাইলে দুপুর দুইটার পর থেকে চা কিংবা কফির কাপ এড়িয়ে চলুন। মনে রাখবেন, ক্যাফেইন একটি উত্তেজক এবং এটি অ্যাড্রেনালিন উৎপাদন বৃদ্ধি করে ঘুমের ঝামেলা সৃষ্টি করতে পারে।

বিছানায় যাওয়ার আগে আপনার মনকে শান্ত করুন

প্রতিদিন আমরা বিভিন্ন আবেগের মধ্য দিয়ে যাই, যার সবগুলো ইতিবাচক নয়। সেইসব চিন্তা নিয়ে যদি আপনি ঘুমাতে যান, তবে ঘুমের ভেতরেও তার প্রভাব পড়া স্বাভাবিক। তখন স্বপ্নেও আপনি সেসব সম্পর্কে দেখতে পান।

সুতরাং, আপনার মন এবং দেহকে শান্ত হতে এমন কাজ করে নিজেকে ঘুমের জন্য প্রস্তুত করুন। আপনি শান্ত সংগীত শুনতে পারেন, বাতিগুলো বন্ধ করে দিতে পারেন, ধ্যান বা প্রার্থনা করতে পারেন, হালকা সুগন্ধযুক্ত মোমবাতি জ্বালাতে করতে পারেন বা বই পড়তে পারেন। মূল কথা হলো, আপনার মনকে প্রশান্ত করে, এমন কাজই করুন।

ঘুমানোর সময়সূচী মেনে চলুন

এটি পুরোনো পরামর্শ, তবে কম কার্যকর নয়। আপনার রুটিন অনুযায়ী একটি ঘুমাতে যাওয়ার এবং জেগে ওঠার সময় নির্দিষ্ট করুন। ছুটির দিনটিতেও এই নিয়মের ব্যতিক্রম করবেন না। নিয়মমাফিক চললে আপনার শরীর ধীরে ধীরে একটি স্বাস্থ্যকর ঘুমের রুটিনে অভ্যস্ত হয়ে যাবে।

Related posts

বেশিরভাগ মানুষের স্ট্রোক কেন বাথরুমে থাকার সময় হয়! বাঁচতে কি করণীয়!

News Desk

এই সমস্ত ক্ষেত্রে আর টি পিসি আর টেস্ট বাধ্যতামূলক করলো রাজ্যগুলি

News Desk

বালিশ ছাড়া শুয়ে থাকার অভ্যাস শুরু করুন, অনেকটা সুস্থ থাকবেন

News Desk