শরীর ক্লান্ত লাগছে একটু বেশি কাজ করলেই। দৃষ্টিশক্তিও যেন ক্রমশ কমছে চোখের। আমরা প্রত্যেকেই জেরবার প্রতিদিনের জীবনে এই ধরনের শারীরিক সমস্যা নিয়ে। শরীর যেন আর দিচ্ছে না সারাদিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর। আর তখনই আমরা ওষুধের উপর ভরসা করি। ওষুধ যেন আবশ্যিক শরীরে কিছু হোক না হোক। শরীর সুস্থ শুধু ওষুধ খেলেই। কিন্তু ওষুধের থাকে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাই এবার থেকে ঘরোয়া টোটকায় ভরসা রাখুন ওষুধ ভুলে যান। জানেন কি, হাজারো সমস্যার সমাধান সামান্য কলমি শাকেই রয়েছে। দামেই যেমন কম তেমনই এই শাক বাজারে পাওয়া যায় সারবছরই। জানলে অবাক হবেন দামে কম পুষ্টিগুণে ভরপুর এই শাকের উপকারিতা ।
হজমে সহায়ক:
কলমি শাক ফাইবার ভরপুর একটি খাবার। খাদ্য হজম, খাদ্য পরিপাক ও বিপাক ক্রিয়ায় এটি সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয় নিয়মিত কলমি শাক খেলে।
এক্ষেত্রে এক সপ্তাহ কলমী শাক তুলে সেচে এক পোয়া পরিমাণ রস করে আখের গুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে শরবত বানিয়ে সকাল-বিকাল খেলে ভালো উপকার পাওয়া যাবে।
চোখ ভাল রাখে:
আবছা দেখছেন চোখে। ঝাপসা লাগছে মাঝেমধ্যেই। সস্তার কলমি শাক নিয়মত পাতে রাখুন চোখের দৃষ্টিশক্তি প্রখর রাখতে। রাত কানা রোগে কয়েক সপ্তাহ প্রতিদিন একবেলা এই কলমী শাক ভাজি রান্না করে খেলে ভালো হয়।
শারীরিক দুর্বলতা কমায়:
শরীর দুর্বল হয়ে পড়লে এই শাক আজ থেকেই খাওয়া শুরু করুন। শরীরের দুর্বলতা ঠিক করার জন্। এই শাক খুবই উপকারী।
হাড় শক্ত করে:
ক্যালসিয়াম রয়েছে কলমি শাকের মধ্যে যা হাড়কে মজবুত করে।
বসন্ত রোগে:
মরসুম বদলের সময় সম্ভাবনা থাকে বসন্ত রোগ হওয়ার। এই শাক খুবই উপকারী বসন্ত রোগের প্রতিষেধক হিসেবে।
মহিলাদের শারীরিক সমস্যা:
কলমি শাকের জুড়ি মেলা ভার মহিলাদের নানা শারীরিক সমস্যা দূর করতে । গর্ভাবস্থায় হাতে-পায়ে জল জমে আসে মায়েদের শরীরে। সেই সময় জল কমে যায় কলমী শাক বেশি করে রসুন দিয়ে ভেজে তিন সপ্তাহ খেলে।
রক্তশূন্যতায়:
কলমি শাকে আয়রন বেশি থাকায় খুবই উপকারী রক্তশূন্যতায়।
রোগ প্রতিরোধক:
কলমি শাকে ভিটামিন সি থাকে যা বাড়িয়ে তোলে শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা।
বাগি বা ফোঁড়া কমায়:
যদি কেউ বাগি বা ফোড়া নিয়ে ভুগছেন, তবে একটু আদাসহ এই কলমী পাতা তুলে বেটে ফোড়ার চারপাশে লেপে দিয়ে খালি রাখতে হবে মাঝখানে। এইভাবে তিন দিন লেপে দিলে ফোড়া গলে যাবে এবং পুঁজ বেরিয়ে শুকিয়ে যাবে।