দীর্ঘদিন কঠোর লকডাউনে থাকার পরে অবশেষে ব্রিটেন গতকাল থেকে সমস্ত কোভিড বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করেছে নিজেদের দেশ থেকে। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের সব ক্লাব, পাব এবং রেস্তোঁরা তাদের পুরো ক্ষমতা দিয়ে আবার চালু করার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ২০২১ সালের ২১ জুলাইকে ‘ফ্রিডম ডে’ বা “স্বাধীনতা দিবস” আখ্যা দিয়েছে। সেই দেশের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ মানুষের করোনা ভ্যাকসিন নেওয়া হয়ে গেছে। তাই ব্রিটিশ সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ যে সব বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হল:
1) কতজন ব্যক্তি এক সাথে দেখা করতে পারে সেই সংখ্যার সমস্ত বিধিনিষেধ অপসারণ করা হয়েছে।
2) ফেস মাস্কের আদেশটিও সরানো হয়েছে। যদিও সরকার সুপারিশ করেছে জনসাধারণের কাছে জনগণের মাস্ক ব্যাবহার করা উচিত।
3) হাসপাতালের মতো জায়গাগুলি কে বাদ দিয়ে ‘এক মিটারের উপর’ সামাজিক দূরত্বের নিয়ম বজায় রাখা বন্ধ করা হয়েছে।
4) নাইটক্লাব, পাব এবং রেস্তোঁরাগুলি আবার খুলতে পারে।
5) বিবাহ এবং শেষকৃত্য , কনসার্ট, থিয়েটার বা এই জাতীয় কোনও অনুষ্ঠান থেকে লোকসংখ্যার সীমাবদ্ধতা সরানো হয়েছে।
6) সাম্প্রদায়িক উপাসনা অনুমোদিত।
7) ১লা আগস্ট থেকে স্কুলগুলির উপর বন্ধ রাখার নিষেধাজ্ঞাও শেষ হবে। বাড়ি থেকে কাজ করার মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে।
8) যদিও অন্যান্য দেশ থেকে ব্রিটেনে ভ্রমণকারীদের COVID টেষ্ট এবং কোয়ারেন্টাইন থাকতে হবে।
কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উঠে যেতেই সাধারণের মানুষের চিন্তা বাড়িয়ে রীতিমতো ‘উপহাস’ হয়ে দাঁড়াল ব্রিটেনের এই ‘ফ্রিডম ডে’! অসচেতনতার ছাপ সর্বত্র। নাইট ক্লাব , পাব এই সমস্ত জায়গাগুলি তে মাস্ক ছাড়াই ভিড় উপচে পড়েছে। বলা হচ্ছে ডেল্টা প্রজাতির প্রভাবে তৃতীয় ঢেউ চলছে ব্রিটেনে। গত এক সপ্তাহেই প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষকে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিয়েছে ব্রিটেনের দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারী অর্গানাইজেশন ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিসেস বা এনএইচএস। তৃতীয় ঢেউ চলাকালীন এই ভাবে সমস্ত করোনা বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ায় অশনি সংকেত দেখছেন একদল বিশেষজ্ঞরা।