মরসুম বদলের সাথে সাথে আবার প্রকট হয়ে উঠছে মরসুমী ভাইরাল ফিভার। একেই চারদিকে করোনা ভাইরাসের দাপট। তার উপর বর্ষাকালে নিজের চরিত্র পাল্টাচ্ছে ভাইরাল ফিভার! দিকে দিকে জ্বর। বহু মানুষই আক্রান্ত হচ্ছেন এই ভাইরাল ফিভারে। জ্বরের সাথে সাথেই থাকছে শ্বাসকষ্ট, কাশির মত উপসর্গ৷ বেশ কিছুদিন ধরে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি চলছে কলকাতা আর আশে পাশের নানা জেলা জুড়ে৷ কখনও আবার তৈরী হচ্ছে নিম্নচাপ ৷ আবার অন্যদিকে মৌসুমী অক্ষরেখার জোড়া আক্রমণ৷ এই সব মিলেমিশে বৃষ্টির প্রকোপ কমবেশী চলছেই শহরজুড়ে ৷ পাশাপাশি বৃষ্টি হলেও আবহাওয়ায় সস্তি নেই। রয়েছে প্যাচপ্যাচে গরম। আর এই বৃষ্টি রোদ গরম সব মিলিয়ে বাড়ছে রোগের প্রকোপ ৷ ভাইরাল ফিভারে (Viral fever) আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।
ভাইরাল ফিভার হলে ওষুধ যত কম খাওয়া যায় ততই ভালো। কারণ ওষুধের থাকে বেশ ক্ষতিকর কিছু সাইড এফেক্ট। তাই আপনি ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত হওয়ার আগে কিছু ঘরোয়া টোটকা জেনে রেখে আগে থেকেই সাবধানে থাকুন। এতে সাহায্য করবে রান্না ঘরের কিছু মশলা। জেনে নেওয়া যাক কোন কোন মশলা বর্ষায় ভাইরাল ফিভার থেকে আপনাকে দূরে রাখবে ও সরিয়েও তুলবে-
১) হলুদ – কাঁচা হলুদ রোগ, জীবাণু, ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়তে সাহায্য করে। তাই রান্নায় দিন কাঁচা হলুদ। প্রয়োজনে কাঁচা হলুদ আখি গুর দিয়ে কামড়েও খেতে পারেন। দুধের মধ্যে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন।
২) হিং- হিং এর রয়েছে অ্যান্টি ভাইরাল গুন। পাশাপাশি পেটের যাবতীয় অসুখও সারাতে পারে। তাই রান্নায় দিন হিং।
৩) গোল মরিচ- সর্দি ঘটায় এমন ব্যাকটেরিয়া দূরে রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার। মুখে রুচিও ফেরায়। রান্নায় ব্যবহার করুন ।
৪) লবঙ্গ- লবঙ্গতে ভর্তি আছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। এটি ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধকও। সর্দি কাশি হলে মুখে লবঙ্গ রাখতে পারেন।
৫) মেথি- মেথি শরীর ঠান্ডা করতে, আর শরীরের টক্সিন বার করা ছাড়াও রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়ায়। ভাইরাল ফিভার হলে শরীর দুর্বলতা স্বাভাবিক । সেই সময় রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাও কমে যায়। ফলে মেথি খান।
৬) দারচিনি- দারচিনি মধ্যেও রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ক্ষমতা। যা শরীরকে জীবাণুর সঙ্গে লড়তে সক্ষম বানায়। ভাইরাল ফিভার কে প্রতিহত করতে রান্নায় দারচিনি ব্যবহার করুন।
এর পাশাপাশি মেনে চলুন বেশ কিছু নিয়ম। বৃষ্টিতে ভিজবেন না। অল্প ভিজলেও ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। এর ফলেই আসতে পারে জ্বর। তাই বৃষ্টিতে ভিজেই এসি-তে প্রবেশ নয়। ভিজে গেলেই ভাল করে অল্প গরম জলে স্নান করে নিন বাড়ি ফিরে। এতে বৃষ্টির জলের দূষণ ত্বক থেকে ধুয়ে মুছে যায় আবার ঠান্ডা লেগে থাকতে পারে না শরীরে। ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে পুরো বর্ষাকাল জুড়েই হালকা উষ্ণ জলে স্নান করুন। আর জ্বর এলে অবশ্যই ডাক্তার দেখান। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাবেন না। পাতে বাড়ান সবুজ শাক-সব্জির পরিমাণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে শরীরের এমন খাবারদাবার।