স্ক্রীনে টাচ করলেই ব্যাগ ভরে যাবে চাল , ডাল এবং গমে। আর ব্যাগ নিয়ে লাইন দিতে হবে না রেশনের দোকানে। থাকবে না চাল , ডাল , গম সহ বাকী রেশনের পরিমাণেও কারচুপির জায়গা। আমরা সকলেই কমবেশি শুনেছেন ‘রাইস এটিএমে’র (Rice ATM) কথা । এখন রেশনের সমস্ত সামগ্রী গ্রেইন এটিএমে (Grain ATM) পাওয়া যাচ্ছে। কি আপনি অবাক হচ্ছেন? ইতিমধ্যেই এই বন্দোবস্ত করে ফেলেছে হরিয়ানা প্রশাসন সাধারণ মানুষের জন্য।
ইউনাইটেড নেশনস (United Nations) এর ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (World Food Programme) অধীনে গুরুগ্রামের ফারুকখানগরে পাইলট প্রকল্প হিসাবে ভারতের প্রথম শস্যের এটিএম ইনস্টল করা হয়েছে।হরিয়ানা সরকারের এই সিদ্ধান্তে ভীষণ খুশি আমজনতা। মুক্তি মিলবে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা থেকে, বলেই আশাবাদী তারা।
আমরা প্রায় অনেকেই কমবেশি সকলেই আর্থিক সমস্যায় করোনা পরিস্থিতিতে । তাই অতিরিক্ত রেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। রেশন দোকানের সামনে ভিড় করেন বহু মানুষ সেই খাদ্যসামগ্রী পেতে। সেখানে করোনাবিধি পালন যেমন মাঝে মধ্যে অসম্ভব হয়ে যায়, তেমনই সময়ও নষ্ট হয় অনেকটা । তবে হরিয়ানা সরকার সেই সমস্যার সমাধান করে ফেলেছে। বিশেষ এই এটিএম গুরুগ্রামের ফারুকনগরে বসানো হয়েছে। যাতে মিলবে প্রতিদিনের রেশন সামগ্রী। পরবর্তীতে এই মেশিন বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের সমস্ত রেশন দোকানের আশেপাশে।
কিন্তু এটিএম থেকে রেশন (Ration) সামগ্রী মিলবে কীভাবে? নতুন এই পদ্ধতিতে রেশন পেতে আধার কার্ড অথবা রেশন কার্ডের নম্বর মেশিনে দিতে হবে। তাহলে পেয়ে যাবেন নির্দিষ্ট সামগ্রী। গ্রেন এটিএম মেশিনটি টাচ স্ক্রিন সহ একটি বায়োমেট্রিক সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত যেখানে রেশন সুবিধাভোগীকে আধার কার্ড বা রেশন কার্ড নম্বর প্রবেশ করাতে হবে। কার্ড নম্বর অনুমোদনের পরে, কোনও সুবিধাভোগীর জন্য রাজ্য সরকার বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্য সামগ্রী স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেশিনের নীচে রাখা ব্যাগে ভরে যাবে। সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এই গ্রেন এটিএম (Grain ATM) টি একটি ব্যাঙ্ক এটিএমের মতো কাজ করে এবং রাজ্য জুড়ে ইউএন’র (UN) ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের আওতায় ইনস্টল করা হবে। একে অটোমেটেড বহু-পণ্য শস্য বিতরণ মেশিন নাম দেওয়া হয়েছে। এতে কারোর ভাগে যতটা খাদ্যশস্য সামগ্রী বরাদ্দ রয়েছে তার পুরোটাই মিলবে। কোনো কারচুপির জায়গা থাকবে না।