আর পাঁচ জন দিন আনে দিন খায় খেটে খাওয়া মানুষের মতন সবজি বিক্রি করে দিন গুজরান করতেন এই সবজি বিক্রেতা। কিন্তু এই ছাপোষা সাধারন মানুষের মুখোশের আড়ালেই লুকিয়ে খোদ ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক সেনার মদতে দেশের গোপন তথ্য দিনের পর দিন পাকিস্তানের হাতে তুলে দিচ্ছিল সে। অবশেষে ক্রাইম ব্রাঞ্চের জালে এই দুই অপরাধী। এক সেনাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হল পাকিস্তানের (Pakistan) কাছে ভারতের সেনাবাহিনীর গোপন নথি পাচার (Working as Spy) করার অভিযোগে। সে ওই নথি পাচার করছিল এক সবজি বিক্রেতার মাধ্যমে। গত মঙ্গলবার হবিবুর রহমান নামের সবজি বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই জানা যায়,পরমজিৎ নামের সেনাকর্মীটি (Indian Army Personnel) তাকে নথি জোগান দিয়েছিল । অভিযুক্ত হবিবুরের ওই গোপন নথি পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানের ISI-এর কাছে। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করা হয় তার আগেই। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
পোখরান (Pokhran) আর্মি বেস ক্যাম থকে নথি পাচারের চেষ্টা হচ্ছে এব্যাপারে পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর ছিল। ৩৪ বছরের হবিবুর সেই পাচারকারী। এরপরই দিল্লি পুলিশ আর দেরি করেনি। তাকে পত্রপাঠ মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয়। অনেকগুলি গোপন নথি পাওয়া যায় তার কাছ থেকে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। আর তখনই পরমজিতের নাম উঠে আসে। এর আগে পোখরানে পোস্টেড ছিল পরমজিৎ। বর্তমানে আগ্রা ক্যান্টনমেন্টে রয়েছে সে। তার সঙ্গে হবিবুরের আলাপ হয় পোখরানে থাকার সময়ই। আর সেই সূত্রেই এই পাকিস্তানী গুপ্তচরের দালালের সাথে তৈরি হয় আঁতাত।
কিন্তু হবিবুরের কী করে আইএসআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ হল ? জানা গিয়েছে, কয়েকজন আত্মীয় পাকিস্তানের সিন্ধে থাকেন ওই সবজি বিক্রেতার। আগে একবার পাকিস্তানে গিয়েছিল হবিবুর সেই সূত্রেই। সেখানেই সে গুপ্তচর বৃত্তির ফাঁদে পা দেয়। হবিবুর হাওলা চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা পেত। পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের হাতে বিনিময়ে গোপন নথি তুলে দিত।
তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আরও বিস্তারিত তথ্য হাতে আসবে দ্রুত এ সম্পর্কে আশা করা হচ্ছে। তদন্তকারী দলের এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, রহমান ও পরমজিৎ বেআইনি কার্যকলাপে যুক্ত ছিল উভয়ই। এই অপরাধের জন্য ব্যবহৃত হত বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ বেশ কয়েকটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।