দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপট কিছুটা কমলেও এখনও জুলাই এর দ্বিতীয় সপ্তাহেও দৈনিক করোনা আক্রান্তের (Daily Case of Covid) সংখ্যা ভাবাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক কে। দ্বিতীয় ঢেউয়ে দাপটে নাজেহাল দেশে এখনও করোনা আক্রান্ত (Covid-19 Case) ৪০ থেকে ৪৫ হাজারের আশে পাশে ঘোরাঘুরি করছে। এদিকে আজ আবার বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও। আজ পৌঁছেছে ১০০০-র কাছে।
দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার গতি প্রায় থেমে গিয়েছে। সেই তুলনায় কোভিড পজিটিভ হওয়ার হার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানাচ্ছে Ministry of Health and Family Welfare (MoHFW)। আর এরই মধ্যে চিন্তা বাড়িয়েছে মানুষের সচেতনতা বোধের অভাব। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সর্বোচ্চ সীমা কাটিয়ে, লকডাউন গোটা দেশে একটু শিথিল হতেই আবারও পর্যটকদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে পর্যটন কেন্দ্রে। সাথে সাথে আবারও মাস্ক না পড়া, করোনাবিধির না মেনে ভিড়ে সামিল হওয়া এই কাজ করছেন মানুষ। যা করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আবারও বেড়ে যাওয়ার জন্যে একেবারে আদর্শ।
ভারতে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমতেই, লকডাউনের বিধি নিষেধ কিছুটা হালকা হতেই হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখন্ডে আবারও ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। সম্প্রতি মানালি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যাচ্ছে, বহু মানুষ ভিড়ে গাদাগাদি করছেন। আরেকটি ভিডিও দেখা যাচ্ছে যেখানে মুসৌরির কেম্পটি ফলস এর তলায় আনন্দ উল্লাশে মেতেছেন বহু মানুষ। এই সব জায়গায় কোনওভাবেই কোভিড বিধি পালন করা হচ্ছে না।
থার্ড ওয়েভ আসবে আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে গবেষণায় উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে একাংশের মতে । তাই এটা এখন অ্যালার্মিং সময় বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। কোনও রকম ভুল ত্রুটি দেশকে আবারও নিয়ে যেতে পারে ভয়াবহ জায়গায়। সেপ্টেম্বর মাসে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা চূড়ান্তে পৌঁছবে। এর আঁচ অক্টোবরেও থাকবে। তবে ১.৫ লক্ষ ছাড়াবে না দৈনিক আক্রান্ত। কেরল ও মুম্বইয়ে সংক্রমণের হার সব থেকে বেশি চিন্তা বাড়াচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহলে। দেশে দৈনিক আক্রান্তের হার এই মুহূর্তে ২.৩৭ শতাংশ। যা কিছুটা বেড়ে গিয়েছে ৭ জুলাই ।
আর তৃতীয় ঢেউ থেকে দেশকে বাঁচাতে কেন্দ্রীয় সরকার সমস্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে চাইছে নতুন করে। কেন্দ্র আর কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় শিশুদের জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে। রদবদলের পর প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ২৩,১২৩ কোটি টাকার বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করল কেন্দ্র। যা কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজে লাগানো হবে।