প্রত্যেকের রান্নাঘরেই রয়েছে নানা ঘরোয়া টোটকা ও ওষুধের কারখানা। যদি জানা থাকে এবং ব্যবহার করতে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে অনেক রোগ থেকে পাওয়া যায় মুক্তি। বিনা অ্যালোপ্যাথি ওষুধেই থাকতে পারবেন সুস্থ সবল।
যেমন হৃদযন্ত্র (Heart) কে সুস্থ ও সতেজ রাখা। আজকাল হৃদযন্ত্রের সমস্যা বহুগুণে বেড়ে গিয়েছে। কোলেস্টেরল, রক্তচাপ, রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি ইত্যাদি নানা কারণে হৃদযন্ত্রের উপর পড়ে চাপ। আর প্রায় দেড় বছর ধরে চলা করোনা মহামারীর সময়ে তো হৃদযন্ত্রের খেয়াল রাখা বিশেষ দরকার। এই বিষয়ে সতর্ক থাকা আবশ্যক
আইসিএমআর থেকে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট (ICMR Report) বলছে, ভারতে গত ১৯৯০ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে হৃদরোগের সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ শতাংশের থেকে বেশি। ভারতের প্রায় প্রতিটি রাজ্যে হৃদরোগীর সংখ্যা বেড়েছে। ভারতে রোজ যতগুলি মৃত্যু হয়, তার মধ্যে ১৮ শতাংশ মৃত্যু হয় হৃদরোগের (Cardiac Arrest) কারনে। ভারতে হৃদরোগে আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা ১০ লাখ ৩০ হাজার থেকে ২০ লাখ ৩০ হাজারের মধ্যে ঘুরছে।
তাই হৃদযন্ত্রের প্রতি আজই যত্নবান হন , সঠিক খাওয়া দাওয়া , ঘুম , ব্যায়াম এর পাশাপাশি বাড়িতে থাকা এক সামান্য উপাদান রাখবে আপনার হার্টের জন্য বিশেষ ভাবে উপকারি।
জানেন কি সেই উপদান? সেই উপাদান হল আদা(Ginger)। শুধু রান্নায় স্বাদ বাড়ানো নয়, আদার অনেক ঔষধি গুণও আছে।
বেশ অনেকগুলি পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে আদার মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু উপকারি উপাদান , যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কে ঠিক রাখে। ফলে শরীরের ধমনীতে রক্তের প্রবাহ খুব স্বাভাবিক রাখে। এর ফলে হার্টের সমস্যা (Heart Problems) অনেকটাই সমাধান করা হয়।
আদা হার্ট কে ভালো রাখতে পারে এর কারণ, আদর মধ্যে রয়েছে প্রয়োজনীয় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট (Anti Oxydent)। এছাড়াও আদায় রয়েছে নানা খনিজ যেমন ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, কপার এবং জিঙ্কের ইত্যাদি পদার্থ।
পাশাপাশি আদাতে রয়েছে বায়োঅ্যাক্টিভ যৌগ জিনজেরল। এই জিনজেরলের রীতিমতো ঔষধী গুণাগুণ রয়েছে। এই জিনজেরল – এ থাকে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট প্রপার্টি।
তাই প্রতিদিন রান্নায় আদার ব্যাবহারের সাথে সাথে রোজ খান আদার রস। এই রস শরীর শীতল করবে এবং হৃদযন্ত্রের জন্য ভীষণ উপকারী। একটি রিসার্চ বলছে মাত্র ২ গ্রাম আদার গুঁড়ো রোজ ১২ সপ্তাহ ধরে খাই , তাতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যায় ১০ ভাগ। পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে আসে ১০ ভাগ।