ক্রমশই চরিত্র পাল্টাচ্ছে করোনার ডেল্টা প্রজাতি। সম্প্রতি করোনার ডেল্টা প্রজাতির একটি নতুন প্রজাতির হদিশ পেয়েছে গবেষকরা। তারা এই নতুন ভারিয়ান্টের নাম রেখেছেন ‘ডেল্টা প্লাস’ বা ‘এওয়াই.১’। যথেষ্ট উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা এই নতুন প্রজাতির ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে। কতটা শক্তিশালী এই ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়্যান্ট? এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে সঠিক কোনও তথ্য গবেষকদের হাতে আসেনি।
ভারতে দ্বিতীয় ঢেউয়ের মূল কারণ ছিল ডেল্টা প্রজাতির করোনা ভ্যারিয়েন্ট। করোনার সেই প্রজাতিই স্পাইক প্রোটিনে পরিবর্তিত হয় এখন হয়ে দাড়িয়েছে ‘ডেল্টা প্লাস’। জিনোম সিকোয়েন্সিয়ে খুজে দেখা গিয়েছে, কে৪১৭এন মিউটেশন হয়েছে ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেনের। তবে করোনার এই নতুন প্রজাতি কতোটা মারাত্মক।
এমনকী, এই নতুন ডেল্টা প্লাস প্রজাতি কতটা সংক্রামক ও কতোটা দ্রুত হারে মানুষের মধ্যে ছড়ায় সেই ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি। এই প্রসঙ্গে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, টিকার দুটি ডোজ নেওয়া হয়েছে এমন ব্যক্তিদের প্লাজমা নিয়ে গবেষণা করে দেখতে হবে ডেল্টার পরিবর্তিত এই নতুন রূপের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা কতখানি গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছে।
তবে এই ডেল্টা প্লাস প্রজাতিকে এখনও উদ্বেগজনক বলছেন না গবেষকরা। তার কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ইউরোপ এবং আমেরিকায় এই নতুন প্রজাতি প্রভাব বিস্তার শুরু করলেও আপাতত ভারতে সেই ভাবে দ্রুত ছড়াতে শুরু করেনি এই ডেল্টা প্লাস প্রজাতি। তবে উদ্বেগের বিষয়, এই নতুন করোনা প্রজাতির কাছে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি রুখে দেওয়ার ক্ষমতা থাকতে পারে। অর্থাৎ অ্যান্টিবডি ককটেল যা কিনা মনে করা হচ্ছিল সব ধরনের করোনা মিউটিয়ান্ট এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম এটি সেটিকেও আটকে দিতে পারে এই নতুন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। তাই ভীষন ভাবেই সতর্ক থাকা প্রয়োজন।