এক রাজার তিন । ছোট বেলায় মা–ঠাকুমাদের শোনানো ‘ঠাকুরমার ঝুলি’ কিংবা পুরনো রূপকথার গল্পেসব উদাহরণ থাকত এরকমই । আর ইতিহাস ঘাঁটলে প্রমাণও মিলবে, সত্যিই আগেকার দিনের রাজা–রাজরাদের একাধিক স্ত্রী থাকত। কিন্তু এখন? হ্যাঁ, এখনও এমন একটি দেশ রয়েছে বিশ্বে, যেখানে রাজতন্ত্র (Monarchy) কায়েম এবং তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেখানকার রাজা প্রতি বছর মেয়েকে বিয়েও করেনএvকজন ‘কুমারী’ (Virgin) । এমনকী এই বিয়ের জন্য কুমারী মেয়েদের বিশেষ প্যারেডও আয়োজিত হয়। এটাই সত্যি শুনতে অবাক লাগলেও।
বর্তমানে রাজতন্ত্র রয়েছে বিশ্বের খুব কম জায়গাতেই। থাকলেও প্রশাসনিক বা সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রায় নেই বললেই চলে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa) এবং মোজাম্বিকের (Mozambique) সীমান্তে অবস্থিত ছোট্ট একটি দেশ এসওয়াৎনি বা সোয়াজিল্যান্ডে (Swaziland) রাজতন্ত্র রয়েছে। আর সেখানকার রাজার হাতে শাসনভারও থাকে। ১৯৪০ সাল থেকে এই নিয়ম সে দেশেই চলে আসছে। বিয়ের আগে মেয়েদের কুমারীত্ব বাঁচাতে এবং আরও বেশ কিছু কারণে এই নিয়ম চালু হয়েছিল। বর্তমানে কিং এমসাতি তৃতীয় সে দেশের রাজা। ১৯৮৬ সালে ১৮ বছর বয়সে রাজা হন তিনি। তারপর থেকে ই একজন কুমারী মেয়েকে বিয়ে করছেন তিনি প্রতিবছর। এর মধ্যে তিনজন স্ত্রীকে ডিভোর্সও দিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, তাঁর ৩০–এরও বেশি সন্তানও রয়েছে।
কিন্তু রাজা কীভাবে রানিকে বেছে নেন? নিয়মানুযায়ী প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় রানিদের থাকা জায়গা লুদজিদিনি রয়্যাল রেসিডেন্সে (Ludzidini Royal residence) দেশের সমস্ত কুমারী মেয়েদের। তারপর সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় Engabezweni royal residence–এ। এরপর পরবর্তীতে এমবাবানের (Mbabane) রয়্যাল প্যালাসে বর্ণাঢ্য প্যারেডের আয়োজিত হয় । সেখানে ওই কুমারী মেয়েরা কুমারীত্বের প্রতীক হিসেবে ছুরি হাতে অংশ নেন। পদযাত্রায় অংশ নেন অনুষ্ঠান দেখতে আসা অতিথি এবং রাজার সামনে । এরপরই রাজা তাঁদের মধ্যে থেকেই একজনকে নতুন রানি হিসেবে বেছে নেন। আজব মনে হলেও গোটা দেশের মানুষ কিন্তু বেশ উৎসাহের সঙ্গে যোগ দেয় এই অনুষ্ঠানে।