শুধু শরীরী অভিব্যক্তি অর্থই কি রিয়া সেন? তার মনের খোঁজ কেই বা রেখেছে? যেকোনো ফটোশুটে ‘সেক্সি’ তকমা যেন রিয়া সেনের জন্যই তোলা!
বহুবার বাংলা তথা ভারতের মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের ছোট নাতনির গা-ঢাকা পোশাকে ছবি দিয়েও ছবিতে বেশিরভাগ মন্তব্য জুটেছে— ‘মারাত্মক উষ্ণ’! শুধুই ছবি নয়, বলিউডে যে কয়টি ওয়েব সিরিজ, সিনেমা করেছেন, তাতেও একই ট্যাগ তার অভিনীত চরিত্র ও তার নামের পাশে। তার অভিনয় প্রতিভা কে যেন অগ্রাহ্য করেন সকলে।
একটা সময়ের পর এ কারণেই কি বিদায় জানাতে বাধ্য হন বলিউডকে সুচিত্রা সেনের নাতনি?
নিউজ হাউসের কাছে রিয়া সেন নিজেই জানালেন সব কিছু। রিয়ার দাবি—তার গায়ে এ তকমা অভিনয় দুনিয়ায় আসার আগে থেকেই ।
অভিনেত্রী আফসোস করে বলেন, ‘স্কুলে পড়ার সময় মাত্র ১৬ বছর বয়সে প্রথম শুনি— আমি সেক্সি! সেই শুরু। যৌনতার এই তকমা বহন করে চলতে হয়েছে আমায় অত ছোট বয়স থেকে।’
রিয়া বলেন, আমি হাঁপিয়ে উঠেছি এই কথা শুনতে শুনতে। অভিনয় দুনিয়ায় এর পরে পা রাখেন রিয়া। সেখানেও পুনরাবৃত্তি একই ধরনের ট্যাগের।
অভিনেত্রী বলেন, ‘তখন খুবই অল্প বয়সের আমি। যা বলা হতো চেষ্টা করতাম তাই করার। রাজি হয়ে যেতাম ছোট পোশাক পরতে। খুব চড়া রূপসজ্জা করতাম।’ এতে যে আরও জোরালো হয়ে উঠত তার ‘যৌন আবেদন’, বুঝতে পারেননি।
রিয়ার অকপট স্বীকারোক্তি— ‘আজ বুঝি, কেন হাতেগোনা কয়েকটি ছবি দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছিল বহু সংখ্যক ছবিতে অভিনয়ের পরও। সবাই কেন বলতেন— ভালো অভিনেত্রী নয় রিয়া। আমি যেন কেবল যৌন আবেদনময়ী। কোনো দোষ নেই দর্শক, সমালোচকদের। আমাকে ওই ভাবে দেখানো হয়েছিল প্রায় সব ছবিতেই।’
আজ যখন তার অভিনীত ছবি দেখেন, অভিনয় থেকে অনেক দূরে থাকা অভিনেত্রী, নিজেই সেটি বুঝতে পারেন। একই সঙ্গে কুঁকড়ে যান লজ্জায়। তার মনে হয়, দিনের পর দিন পর্দায় সেটিই জোর করে ফুটিয়ে তুলেছেন যেটি তিনি নন ।
রিয়ার দাবি, সবাই মনে করতেন বাস্তবের রিয়া পর্দার আর এক। অভিন্ন তিনি এবং যৌনতা। কিছুতেই বোঝাতে পারতেন না কাউকে, তিনি আদতে শরীরসর্বস্ব নন।
তাই ভাবমূর্তি বদলাতে বদলাতে তিনি একসময় নিজেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হন বলিউড থেকে, অভিনয় জগৎ থেকে।