শারীরিক সম্পর্ক বা যৌন সম্পর্ক , যে একেবারেই সংশ্লিষ্ট দুই পক্ষের পারস্পরিক ব্যাপার কোনও সন্দেহ নেই! কিন্তু তা-ও সমাজ এই সম্পর্ক নিয়ে মাথা ঘামিয়ে থাকে অনেক দিক থেকেই দুই ব্যক্তির জীবনে, নানা ধরনের বিধিনিষেধের বেড়াজালে দেহসুখের উদ্দামতাকে সীমিত করে দিতে চায়।
এই নিয়ে এক মহিলা বিশেষজ্ঞ পল্লবী বলেছেন এই পর্বে বিয়ের আগের যৌন সম্পর্ক এবং বিশ্লেষণ করেছেন সেই নিয়ে সামাজিক আপত্তির দিকটা। তিনি এই প্রসঙ্গে এক ব্যক্তির কথা বলেছেন নাম প্রকাশ না করে। ওই ব্যক্তি জানতে চেয়েছেন যে অনেক দিক থেকে আধুনিক হয়ে উঠলেও সমাজের ছুঁৎমার্গ কেন এখনও কাটছে না বিয়ের আগের যৌনতা নিয়ে!
সবার প্রথমে পল্লবী পবিত্রতার প্রচলিত সংজ্ঞার কথা এ প্রসঙ্গে তুলে ধরেছেন। জানিয়েছেন যে যৌনতাকে বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে শারীরিক পবিত্রতা বলে গণ্য করা হত প্রাচীন কাল থেকে। সে কারণে একটি আবশ্যক বিষয় ছিল সমাজে মেয়েদের কৌমার্যরক্ষা। স্বামীই হোক প্রথম পুরুষ- বিয়ের আগের যৌন সম্পর্ক নিয়ে সরব হত সমাজ এই ধারণা থেকেই। এখনও আমাদের মাথায় সেই ধারণা গেঁথে রয়েছে।
আরও একটি কারণ ছিল ধর্মীয় মতামত বিয়ের আগের যৌনতার ক্ষেত্রে। যৌনতাকে কেবল সন্তান উৎপাদন এবং বংশবৃদ্ধির সহায়ক হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে পৃথিবীর অনেক ধর্মেই। আত্মসুখের ক্ষেত্রটি এক্ষেত্রে পাপ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। আজও বিয়ের আগের যৌন সম্পর্ক সমাজে নিন্দার কারণ হয়ে দাঁড়ায় সেই ধারণা থেকেও।
যৌনতা থেকে বিয়ের আগের জন্ম নেওয়া অবাঞ্ছিত সন্তান সম্পত্তিতে ভাগ বসাবে, এই কারণেও তা একদা সমাজে পরিহার্য ছিল বলে জানিয়েছেন পল্লবী।
বলা বাহুল্য, আধুনিক যুগে এই সব ধারণা মেনে চলার কোনও প্রয়োজন পড়ে না।