প্রাক্তন পুলিশ কর্তা ডেরেক চৌভিন শাস্তি পেলেন আফ্রিকান-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডকে (George Floyd) খুনের দায়ে। আদালতের তরফেসাড়ে ২২ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছে চৌভিনকে ।
আমেরিকার মিনিয়াপলিসে (Minneapolis) গতবছর গোটা বিশ্বকেই উত্তাল করেছিল কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের (George Floyd) মৃত্যুর ঘটনা। ফের একবার আমেরিকার বর্ণবিদ্বেষ প্রকট হয়ে উঠেছিল সমাজের কাছে।
ডেরেক চৌভিনকে আদালতের তরফে বলা হয়, বিশ্বাসভঙ্গ, ক্ষমতা ও পদের অপব্যবহার ও বিশেষ ভাবে জর্জ ফ্লয়েডের প্রতি যে নিষ্ঠুরতা দেখানো হয়েছে, এই কারাদণ্ডের মেয়াদ ঠিক করা হয়েছে তার উপর ভিত্তি করেই।
কী হয়েছিল সেদিন?
২০২০ সালের মে মাসে আমেরিকা এই হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী থাকে। একটি দোকান থেকে জর্জ ফ্লয়েড এক প্যাকেট সিগারেট কেনেন। ফ্লয়েড যে তাঁকে জাল নোট দিয়েছে সে ব্যাপারে কিন্তু কোনও কারণে দোকানির সন্দেহ হয়। পুলিশ ডাকেন দোকানি। এরপর তাঁকে পাকড়াও করে পুলিশ এলে, তাকে নিয়ে যেতে চাইলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। এসময়ই পুলিশ কর্মী ডেরেক জর্জকে মাটিতে ফেলে ঘাড়ের উপর হাঁটু চেপে ধরেন। আর্তনাদ ছিল ফ্লয়েডের, ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না।’ তা সত্ত্বেও তাঁকে ছাড়েননি ওই পুলিশ কর্মী। সেই অবস্থাতেই জর্জকে মাটিতে চেপে রেখেছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে শ্বাসরোধ হয়ে জর্জের মৃত্যু হয়।
মর্মান্তিক সেই ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। নিন্দার ঝড় ওঠে আমেরিকা সহ গোটা বিশ্বে। আগুন জ্বলে ওঠে মার্কিন প্রদেশে বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগে। ‘ব্ল্যাক লাইভ ম্যাটারস’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে পথে নামেন হাজার হাজার কৃষ্ণাঙ্গরা বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, বিচার কি মিলবে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মীর হাতে কৃষ্ণাঙ্গের খুনের অভিযোগে?ফ্লয়েডের পরিবারও সন্দিহে ছিল। তাঁদের বক্তব্য ছিল, ‘সবাই সব জানেন কিন্তু তাও সুবিচার মিলবে?’তবে চলতি বছরের এপ্রিলেই আদালত দোষী সাব্যস্ত করে। আর এবার তাকে সাড়ে ২২ বছরের জেল শোনানো হল।