চীনের ভ্যাকসিন নিয়ে ভুগছে বেশ কয়েকটি দেশ, বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। এমনটাই জানাচ্ছে নিউ ইয়র্কের সংবাদমাধ্যম।
চিন করোনা ভাইরাস এবং ভ্যাকসিন দুটোই সবার আগে বাজারে নিয়ে এসেছিল৷ ভাইরাসটি টিকে গেলেও টিকছে না সিনোফার্ম চিনের কোভিড ভ্যাকসিন। চিনের তৈরি ভ্যাকসিন নিয়েছে মোঙ্গলিয়া, বাহারিন, সিসিলি, চিলি সহ প্রায় ৯০টি দেশ৷ নতুন করে করোনা সংক্রমণ এই দেশগুলোতে উর্ধ্বমুখী৷
কী বলছে নিউ ইয়র্কের সংবাদমাধ্যম প্রকাশিত তথ্য?
সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমস সহ কয়েকটি সংবাদপত্রে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে৷ যেখানে বলা হয়েছে, মোঙ্গলিয়া, বাহারিন, চিলির মতো কয়েকটি দেশ প্রায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দিয়ে ফেলেছে তাদের মোট জনসংখ্যার। অর্থনীতির বন্ধ তালা খোলার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছে দেশগুলি লকডাউন শেষ করে৷ কিন্তু আদপে উল্টোটা হচ্ছে। দেশগুলিতে করোনা সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী এত মাত্রায় ভ্যাকসিনেশন হবার পরও৷
হংকং-এর ভাইরোলজিস্ট কী বলছেন?
হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্ট ডংইয়ান সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, আজ আমাদের এই দিন দেখতে হত না যদি চিনের তৈরি ভ্যাকসিন সত্যিই কার্যকরী হত তাহলে৷ চিনের এই দায়। ওরা এড়াতে পারে না এই দায় ।
ভারতের ভাইরোলজিস্টরা বলছেন গোড়ায় গলদ রয়েছে, প্রথম থেকেই সন্দেহ প্রকাশ করে আসছেন বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা চিনের তৈরি ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে৷ এই ভারতীয় ভাইরোলজিস্টদের বড় অংশের বক্তব্য, কোথাও প্রকাশ করেনি চিন নিজেদের ভ্যাকসিন ট্রায়ালের সম্পূর্ণ তথ্য৷ এমনকি চিনের ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই তার অনুমোদন দিয়ে ভ্যাকসিনেশন শুরু করে দিয়েছিল বাহারিন, চিলি, মোঙ্গলিয়া সহ কয়েকটি দেশ৷ এখান থেকেই সমস্যার শুরু৷ পাশাপাশি ত্রিপল মিউটেন্ট হয়ে ফিরেছে করোনা যা অনেক ভ্যাকসিনের সুরক্ষা কবজ ভাঙছে বলেও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।