সূর্য ওঠার সাথে শুরু হয় আমাদের দিন , সন্ধ্যা নামার পর থেকে কাজ কর্ম শেষ করে রাতে মানুষ বিশ্রাম করেন। এই চক্রেই চলেছে তমাম বিশ্বের কাজ কর্ম। কিন্তু যদি এমনটা হয় যে ২৪ ঘন্টায় জ্বল জ্বল করছে সূর্যের আলো। কখনই রাত্রি হয় না! তাহলে কী করবেন?
শুনে অবাক হয়ে গেলেন! ভাবছেন দিনের পরে রাত নামে না এ আবার হয় নাকি। কিন্তু এই পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ আছে যেখানে ঠিক এমনটাই ঘটে। সূর্য অস্ত যায় না সেখানে বছরের বেশ কিছুটা সময়।
২৪ ঘণ্টার একটা সম্পূর্ন দিনের ১২ ঘণ্টা হয় দিন, আর ১২ ঘণ্টা রাত। এ রকম মহাজাগতিক চক্র আমাদের শরীর কে অনেকটাই স্বস্তি দেয়। রাতের অন্ধকার আমাদের শরীরের জৈবিক চক্র ঠিক রাখে। স্নায়ু শান্ত করে প্রয়োজনীয় বিশ্রাম দেয়। তবে এমন কয়েকটি স্থান রয়েছে, যেখানে একটি দিনের ২৪ ঘণ্টাই সূর্যের আলো দেখা যায়। এই ঘটনাটি সূর্য এবং পৃথিবীর অবস্থানের জন্যই হয়। উত্তর মেরু এবং অ্যান্টার্কটিক বৃত্তের দক্ষিণে গরমের মাসগুলিতে এমনটা ঘটে।
ফিনল্যান্ড
ফিনল্যান্ডের বেশিরভাগ স্থানেই গ্রীষ্মকালে টানা ৭৩ ঘণ্টা সূর্যকে আকাশে দেখা যায়। ফিনল্যান্ডে অবশ্য শীতকালে সূর্যের আলো দেখা যায় না। মধ্যরাতের সময় সূর্য আর্কটিক বৃত্তের উপরে প্রজ্জ্বলিত হয়। তবে এই দেশে সূর্য কিছু সময়ের জন্য দিগন্তের সীমানা পেরিয়ে যায় এবং আবার সূর্যোদয় হয়। যার ফলে শেষ রাত এবং ভোর রাতে চারদিকের আলো ঝাপসা হয়ে যায়।
আলাস্কা
আলাস্কায় সূর্য মে মাসের শেষের থেকে জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত অস্ত যায় না। ফেয়ারব্যাঙ্কস, আলাস্কা আর্কটিক সার্কেলের দক্ষিণে যেখানে গ্রীষ্মের সময় নিরক্ষরেখা থেকে সূর্যের দূরতম স্থানে অবস্থানকালে বেলা সাড়ে ১২টায় সূর্য অস্ত যায়। কারণ ফেয়ারব্যাঙ্কসটি আদর্শ সময় মানের অঞ্চল থেকে ৫১ মিনিট এগিয়ে।
কানাডা
কানাডার উত্তর-পশ্চিম অংশে কিছু জায়গায় গরম কালে প্রায় ৫০ দিনের জন্য নিরন্তভাবে সূর্যের আলো দেখা যায়। যদিও কানাডার এই অঞ্চলগুলো বছরের ৩৭৫ দিন তুষার আবৃত থাকে সারা বছরই তুষারে ঢাকা থাকে।
নরওয়ে
নিশীথ সূর্যের দেশ নামে পরিচিত নরওয়ে। এই দেশে মে মাসের শেষ থেকে জুলাইয়ের শেষের দিকে টানা ৭৬ দিনের জন্য, সূর্য প্রায় ২০ ঘণ্টার জন্য কখনোই অস্ত যায় না।
সুইডেন
মে মাসের প্রথম ভাগ থেকে শুরু করে অগস্টের শেষের দিক পর্যন্ত সূর্য মাঝরাতে অস্ত যায় সুইডেনে। আবার ভোরে উদয় হয়।