ঘুম থেকে উঠে নানা ব্যাস্ততায় প্রায় মাঝে মধ্যেই সেই ভাবে ব্রেকফাস্ট করা হয় ওঠে না। কাজে বেরোনোর তাড়া কি বাড়ির কাজ কর্ম সেরে ওঠা সব কিছুর মাঝে সকালে সেই ভাবে খাওয়ার সময় কোথায়? কিন্তু সময় করতে হবে। কেননা নাহলে নিজেই নিজের ক্ষতি করছেন। সকালের প্রাতরাশ না করলে কোপ পড়বে বুদ্ধিতে। গবেষণা এমনটাই বলছে।
হ্যাঁ, সকালে না খেলে আইকিউ (IQ) কমে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। আর ব্যাপার টা যদি বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হয় তাহলে তো এই প্রবণতা অনেক বেশি দেখা যায়। কেননা, সকালবেলাই আমাদের শারীরিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে বেড়ে ওঠার সঠিক সময়। এই সময়ে ব্রেইন সেল সব থেকে বেশি অ্যাক্টিভ থাকে। তাই ব্রেইন সেল নিজের পুষ্টি না পেলে কমতে থাকে তার কার্যকরিতা।
আমরা অনেকেই দেরি করে বিছানা ছাড়ি। দেরি করে ঘুমাতেও যায়। তাই দিনের পুরো কাজ কর্মের চক্রটাই শুরু হয় দেরি করে। কিন্তু সূর্যদয় ও সূর্যাস্তের সঙ্গে শরীরের বিপাকক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। সকাল বেলা আমাদের শরীরের পরিপাক হার বেশি থাকে। যত সময় যেতে থাকে পরিপাক হারও কমতে থাকে। ফলে দুপুর বা রাতের চেয়ে সকালে খাবারদাবার ও পুষ্টি অনেক বেশি প্রয়োজনীয়।
সারা রাত খালি পেটে থাকার পর সকালে না খেলে শরীরের গ্লুকোজ লেভেল কমতে থাকে। সকালের খাবার পুষ্টিকর হওয়া জরুরি। শতকরা ৭০ ভাগ কার্বোহাইড্রেট, ২০ ভাগ প্রোটিন আর ১০ ফ্যাট যুক্ত খাবার একটি সুষম খাবার। সকালে না খেলে দিনের কার্বোহাইড্রেট পরিমাণ শূন্য হয়ে যায়। সেই সঙ্গে রক্তে প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতি দেখা যায়। ফলে ব্রেনে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়। আর মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়।
তাই সকালে প্রাতরাশ তাই কখনোই বাদ দেওয়া বা না খাওয়ার মতন খাওয়া উচিত নয়। পুষ্টিকর ব্রেকফাস্ট সারা দিন কাজ করার শক্তি প্রদান করে, পাশাপাশি গ্যাস্ট্রিক ইত্যাদির সমস্যা থেকেও বিরত রাখে।