৩৬ বছর বয়সেও ফিটনেসের ব্যাপারে তাবড় তাবড় খেলোয়াড়কে পিছনে ফেলে দেবেন রোনাল্ডো। শরীর কে সুস্থ ও সবল রাখতে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো যে ভীষণ রকম খুঁতখুঁতে এবং পরিশ্রমী তা সকলেই জানেন। এই বয়সেও তিনি বিশ্বের সব থেকে জনপ্রিয় ফুটবলার। এমনকি লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতাও হন। ফিটনেসে ক্ষতি করতে পারে, এমন কোনও জিনিসকে তিনি আশে পাশে ঘেঁষতে দেন না।
আর জিনিস তি যদি হয় কোনো ধরণের সফট ড্রিংকস তাহলে তো কথাই নেই। এমন জিনিসই দেখা গেল ইউরো কাপে পর্তুগাল ও হাঙ্গেরির ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে। পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোসের সঙ্গে সাংবাদিকদের সন্মুখীন হয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো। তাদের সামনে রাখা ছিল দুটি করে কোকাকোলার বোতল। কিন্তু সামনে সফট ড্রিংকস দেখেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন সি আর সেভেন। পাশে সরিয়ে দেন বোতল দুটি। কোকাকোলার বোতলের পাশে থাকা একটি জলের বোতল তুলে ইঙ্গিত করেন সকলকে জল খাওয়ার।
কিন্তু টেবিলে কোকাকোলার বোতল থাকার একটি প্রাসঙ্গিক কারণ ছিল। কেনোনা উয়েফার স্পনসর ছিল কোকাকোলা।
কিন্তু স্বাস্থ্যসচেতন রোনাল্ডো সেই কোকাকোলার বোতল গুলি টেবিল থেকে সরিয়ে দিতেই।আর তার বদলে জল খেতে বলেছেন সবাইকে। আর সে কারণেই শেয়ারবাজারে কোকাকোলা সম্পর্কিত নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। রোনাল্ডোর দ্বারা ঘটানো এই ঘটনার আধঘণ্টার মধ্যে কোকাকোলার ব্র্যান্ড ভ্যালু কমে যায় প্রায় ৪০০ কোটি ডলার। মানে ভারতীয় টাকায় কোকাকোলার ৩৩ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা ক্ষতি করে দিয়েছে রোনাল্ডোর সামান্য এক ইঙ্গিত।
সোশ্যাল মিডিয়ার ফলোয়ার হিসাব করলে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর আশে পাশে নেই কোনো তারকা। ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম মিলিয়ে সারা দুনিয়াতে ৫৩ কোটি মানুষ তার অনুরাগী। এর মধ্যে ইনস্টাগ্রামেই বহু ফলোয়ার তাঁর, প্রায় ২৯ কোটি ৮০ লাখ। জানা গেছে ইনস্টাগ্রামে কোনো প্রোডাক্ট কে বিপণন করার জন্য করার জন্য প্রতি পোস্ট বাবদ ৯ লাখ ৭৫ হাজার ডলার টাকা নেন ক্রিশ্চিয়ানো। এহেন জনপ্রিয় তারকা ফুটবলার যদি কোকাকোলা খেতে মানা করে তাহলে সেই ইঙ্গিত ঝর তুলবে বৈকি।