সবথেকে যে চাহিদাটি কোনো ব্যক্তির মধ্যে দেখা যায়, সেটি হল সৃজনশীলতার চাহিদা জীবনের মধ্যবয়স্ক কালে এবং এই চাহিদার পরিতৃপ্তির ঘটাতে চায় ব্যক্তি যা সম্পর্কযুক্ত ভবিষ্যৎ বংশধরদের প্রতিষ্ঠার সঙ্গে। এতদিন পেশা গত ক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্টিত করা বা নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলা, ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত ছিল সে সুখী জীবন গড়ার জন্য। প্রথম সে নিজেকে নিয়ে, নিজের জীবন নিয়ে গভীরভাবে ভাবনার সুযোগ ও সময় পায় সে জীবনে এই সময়ে এসে। সে যদি নিজেকে নিয়োজিত করতে চায়, তাহলে সে সন্তুষ্ট বোধ করে বিভিন্ন সৃজনমূলক এবং উৎপাদন মূলক কাজে।
অন্যদিকে ব্যক্তির মধ্যে আত্মকেন্দ্রিকতা দেখা দিতে পারে । যার ফলশ্রুতি হলো এক ধরনের বদ্ধতার মনোভাব। এই মনোভাব ক্ষতিকর অতিরিক্ত মাত্রায়। তাই এই মিডলাইফ এ সৃজনশীলতা ও বদ্ধতার মধ্যে দ্বন্দ্ব এর প্রধান দুটি দন্দ্ব। এবং যদি সে বিবাহবিচ্ছেদ, দীর্ঘ সম্পর্কের অবসান, আর্থিক স্থিতিশীলতার অভাব, ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে যায়, তাহলে সে আরও নিজেকে অক্ষম মনে করতে থাকে।
কিভাবে বুঝবেন আপনি যে মিডলাইফ সংকটের মধ্যে আছেন:
১) রেগে যাওয়া অথবা খিটখিটে হয়ে যাওয়া অল্প কারণেই।
২) বেশি মাত্রায় হতাশা এবং উদ্বেগ কাজ করা
৩) অনিদ্রা বা অতিরিক্ত ঘুম
৪) অন্যের কাছে নিজেকে অতিরিক্ত ও সব সময় চেষ্টা করে যাওয়া আকর্ষণীয় ভাবে উপস্থাপন করার
৫) অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যালকোহল বা ড্রাগ সেবন করা
৬) বিয়ে, চাকরি, সম্পর্ক, সবটাই যেন খারাপ এবং একটা দমবন্ধ পরিস্থিতির মধ্যে আটকে আছে অর্থাৎ নিজেকে স্টাগন্যান্ট মনে করা ।
৭) নিজেকে ব্যর্থ মনে করা জীবনের বারবার মূল্যায়ন করে
৮) অতিরিক্ত ব্যয় করা এবং অনুভব করা সব সময় একটা পরিবর্তনের তাগিদ।
৯) বারবার মৃত্যুর চিন্তা আসা
কি করবেন
১) কোন না কোন দিক রয়েছে প্রত্যেকের মধ্যেই সৃজনশীলতার । জীবনে চলার তাগিদে এই দিকগুলো আমরা অনেক সময় উপেক্ষা করি বা প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পাইনা। যখন জীবন আমাদের কিছুটা বিরতি দেয় এই সময়,আমরা চর্চা করতে পারি এই সৃজনশীলতাকে । তাতে আত্মমর্যাদা নিজের বাড়ে ও আস্থা বাড়ে নিজের প্রতি।
২) খুব প্রয়োজনীয় হতাশা ও উদ্বেগ কমাতে মেডিটেশন। আপনাকে পদ্মাসনে বসে করতে হবে না নাম জপ। যে কোনো আরামদায়ক জায়গায় বসে, পর্যবেক্ষণ করুন নিজের চিন্তা ভাবনা গুলোকে। কি কি চিন্তা বারবার মনের মধ্যে আসছে এবং সেদিকে মন দিন সেগুলো কিভাবে সমাধান করা যায় । সমাধান মুখী হওয়ার চেষ্টা করুন সমস্যা থেকে মনটা সরিয়ে এনে।