বুধবার থেকে খুলে যাচ্ছে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী কফি হাউস (Coffee House)। রাজ্যের দৈনিক করোনা সংক্রমনে কিছুটা লাগাম পেতেই ফিরছে কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসের আড্ডা। বাঙালির রুচি সংস্কৃতি কে ঘিরে আড্ডা মারার নস্টালজিক জায়গা কফি হাউস। তবে করোনা আবহের মধ্যে সতর্কতা নিয়েই চালু হচ্ছে কফি হাউজ। তবে কফির কাপ হাতে আড্ডা মারার জন্যে হাতে অতি কম সময় বরাদ্দ থাকবে। খুলে গেলেও সরকারি বিধিনিষেধ মেনে কফি হাউজের দরজা খোলা থাকবে মাত্র তিন ঘণ্টা। পাশাপাশি জারি থাকবে একাধিক নিষেধাজ্ঞা।
গত বছর, করোনার প্রথম ঢেউয়ে লকডাউন চলাকালীনই কফি হাউসের চেনা পরিবেশ বদলে গিয়েছিল। সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখতে গিয়ে কমে গিয়েছিল কফি হাউজের টেবিলের সংখ্যা। ছোট হয়েছিল মেনু কার্ডও।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত, মাত্র তিন ঘণ্টা খোলা রাখার ছাড়পত্র পেয়েছে কফি হাউস। ইন্ডিয়ান কফি হাউস ওয়ার্কার্স কো–অপারেটিভ লিমিটেডের সেক্রেটারি তপন পাহাড়ি এই বিষয়ে বলেছেন, ‘সমস্ত সরকারি বিধিনিষেধ কে মান্যতা দিয়ে কফি হাউস খোলা হবে সারা দিনে মাত্র তিন ঘন্টার জন্য। পরবর্তী সময়ে কি হবে সেই পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী নেওয়া হবে’। তিনি আরোও বলেন, ‘ ৬০ জনেরও বেশি মানুষ কাজ করেন এই কফি হাউসে। অনেকদিন ধরে কফি হাউস বন্ধ থাকায় আর্থিকভাবে সমস্যার মুখে পড়ছেন এই কর্মীরা। এখনকার মতন তিন ঘন্টা খুলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে’।
করোনার প্রথম ঢেউয়ে লকডাউনের ওঠার পর যখন কফি হাউসের দরজা আবারও খোলে, তখন সকাল ১১ টা থেকে সন্ধে ৬ টা পর্যন্ত চালু ছিল। তবে ব্যালকনিতে বসতে দেওয়া হত না। কাটছাঁট হয়েছিল টেবিলের ক্ষেত্রে। এমনকী টেবিলের জন্যে সর্বোচ্চ চারটি চেয়ার বরাদ্দ হয়েছিল। কমানো হয়েছিল মেনুর দৈর্ঘ্যও। এবার করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ে পুরোপুরি ভাবে এক না হলেও কঠোর করোনা স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে সবাইকে।