বিহারের আরায় যৌতুকের জন্য এক গর্ভবতী মহিলাকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের লোকজন তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে তাকে হত্যার অভিযোগ করেছেন। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির সবাই পলাতক রয়েছে। ঘটনাটি বিহারের আরা জেলার মুফাসসিল থানা এলাকার বারাউলি গ্রামের।
তথ্য অনুসারে, জামিরা গ্রামের বাসিন্দা ১৯ বছর বয়সী তরুণী রেণু কুমারীর বিয়ে হয় ১লা ডিসেম্বর ২০২১-এ বারাউলি গ্রামের বাসিন্দা সন্তোষ কুমার যাদবের সাথে। বিয়ের পর কয়েক মাস সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল বলে জানা গিয়েছে। এরপরই ওঠে অভিযোগ।
ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর স্বামী সন্তোষ ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুক দাবি করতে থাকে। নগদ ২ লাখ টাকা আনার দাবি ছিল। নিহতের ভাই রমেশ কুমারের অভিযোগ, তার বোনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। যৌতুকের জন্য স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
স্থানীয় লোকজন পুলিশকে জানায়, রেনু তার স্বামীকে বলেছিল তার বাবা-মা গরিব। এত বিপুল পরিমাণ যৌতুক তারা দিতে পারে না। যৌতুকের টাকার দাবি মা-বাবা পূরণ না করতে পারলে স্বামী সন্তোষ কুমার ও তার পরিবারের সদস্যরা রেনুকে গলা কেটে হত্যা করে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেয়।
খবর পেয়ে ওই মহিলার পরিবারের সদস্যরা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন রেণু ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। বাড়িতে তার শ্বশুরবাড়ির কোনো সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় মুফাসসিল থানার এএসআই সঞ্জয় কুমার সিং ঘটনার বিষয়ে বলেন, এক বিবাহিত মহিলাকে খুন করা হয়েছে। তার ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।