পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এক যুবক একটি গর্ভবতী গাভীকে ধর্ষণ করেছে বলে জানা গিয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে পশুটি মারা গেছে। গরুর মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে এবং আদালত তাকে ১৪ দিনের জন্য বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠায়।
পশ্চিমবঙ্গের এই পশু নিষ্ঠুরতার মর্মান্তিক ঘটনায় সকলে স্তম্ভিত। গর্ভবতী গাভীকে ধর্ষণের অভিযোগে বুধবার ২৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নামখানা ব্লকের। সেখানকার উত্তর চন্দনপিডি এলাকায় একটি গরু নিয়ে অশ্লীল ও নোংরা কাজের অভিযোগে প্রদ্যুত ভূঁইয়া নামে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গর্ভবতী গরুর মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উত্তর চন্দনপিডির বাসিন্দা আরতি ভুইয়া এবং তার পরিবার অভিযোগ করেছিল যে কয়েকদিন আগে তাদের প্রতিবেশী প্রদ্যুত বাড়ির পিছনে গোয়ালঘরে ঢুকে তাদের একটি গরুকে “নৃশংসভাবে ধর্ষণ” করেছিল। অভিযোগকারী আরতি জানান, মধ্যরাতে ধর্ষণের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে গরুটির মৃত্যু হয়েছে।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইপিসির ৩৭৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছিল যেখানে তাকে ১৪ দিনের জন্য বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্তের এমন কর্মকাণ্ডের জেরে গোটা গ্রামে তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ বিরাজ করছে। চন্দনপিডি গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, “ছেলেটিকে তার অমানবিক কাজের জন্য কঠোরতম শাস্তি দেওয়া উচিত।” জানিয়ে রাখি অভিযুক্ত প্রদ্যুত ইতিমধ্যেই ক্ষেত থেকে ছাগল, যানবাহন, সবজি চুরির মতো বেআইনি কাজ করেছে। একই সময়ে, এই ঘটনার বিষয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বলেছেন, “এটি একটি লজ্জাজনক ঘটনা, প্রদ্যুত একজন মদ্যপ। তিনি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অভিযুক্তর গ্রেপ্তারের জন্য স্থানীয় পুলিশের প্রশংসা করেন।”
