উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর জেলার এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে, গ্রামের জঙ্গলে এক ৪০ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষক এবং ১৭ বছর বয়সী এক নাবালিকা মেয়ের মৃতদেহ গাছের ফাঁস থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। শিক্ষক ও ছাত্রীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে। দুজনেই ৩ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। মেয়েটির পরিবার থানায় অপহরণের অভিযোগও দায়ের করেছে। পুলিশ দুজনকেই খুঁজছিল, কিন্তু বারবার অবস্থান পরিবর্তনের কারণে দুজনকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপরই মঙ্গলবার রাতে গাছে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দুজনের মরদেহ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে তথ্য দিয়ে এসএসপি বিপিন টাডা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই শিক্ষক ও ছাত্রীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। চলতি মাসের ৩ সেপ্টেম্বর দু’জনই কোথাও পালিয়ে যায়। ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা থানায় অভিযোগও করেছেন। প্রতিবেদনটি নথিভুক্ত করার পর পুলিশ তাদের দুজনকে খুঁজছিল, কিন্তু ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তনের কারণে পুলিশ তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেনি।
গ্রামবাসীরা পুলিশে খবর দেয়
এসএসপি বিপিন টাডা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে কয়েকজন গ্রামবাসী জঙ্গলের মধ্য দিয়ে তাদের মাঠের দিকে যাচ্ছিল। তারপর জঙ্গলের মাঝখানে একটা তীব্র গন্ধ নাকে আসে। গ্রামবাসীরা একটু কাছে গেলে গাছে দুটি লাশ ঝুলতে দেখেন। গ্রামবাসী সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশের একটি দল। পুলিশ ওই ছাত্রীর লাশ শনাক্ত করতে পরিবারের সদস্যদের ডেকে পাঠায়।
১০ দিন আগে দুজনেই আত্মহত্যা করে
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা। তারা ওই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর লাশ শনাক্ত করেন। এসএসপি জানান, মৃতদেহ দেখে মনে হয়েছে সে অনেক আগেই ফাঁসি দিয়েছিল। ঘন জঙ্গলের কারণে সে পথে কেউ যেত না। লাশ পচে গন্ধ বেরোতেই জানা যায়। তিনি বলেন, মৃতদেহের অবস্থা দেখে বোঝা যাচ্ছে প্রায় ১০ দিন আগে দুজনেই আত্মহত্যা করেছেন।
এসএসপি জানিয়েছেন, কাছাকাছি থেকে একটি বাইকও উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কোনো সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। তিনি জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনাটি শিক্ষকের পরিবারের সদস্যদেরও জানানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।