ভাগ্য কবে বদলাবে কেউ জানে না। বিহারের আরাতে বসবাসকারী সৌরভ কুমারের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। রাতারাতি তার ভাগ্য এমনভাবে বদলে গেল যে তার ড্রিম ১১ (Dream-11) ওয়ালেট অ্যাকাউন্টে ৭০ লাখ টাকা চলে এসেছে। আসলে, মঙ্গলবার ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে দুটি দলের খেলোয়াড়দের একত্রিত করে সৌরভ ১১ জন খেলোয়াড়ের নিজস্ব দল তৈরি করেছিলেন। তারপরেই ওই যুবক অনলাইন গেমিং অ্যাপ Dream-11 থেকে এক কোটি টাকা জিতেছেন। এরপর থেকেই থেকেই গোটা রাজ্যে যুবককে গেম চেঞ্জার হিসেবে চেনা শুরু করেছে মানুষ। সকলে জেনে গিয়েছে আরাহ জেলার চরপোখারি ব্লকের ঠাকুরি গ্রামের বাসিন্দা ভেঙ্কটেশ সিংয়ের ছেলে সৌরভ কুমার ড্রিম-১১-এর বিজয়ী হয়েছেন।
জানা গেছে সৌরভ গত বছর থেকে ড্রিম-১১ দল করে জয়ের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু, সাফল্য অর্জিত হয়নি। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে ড্রিম-১১-এ জুটি বেঁধে জয় পান তিনি।
এই জয় নিয়ে সৌরভের সঙ্গে কথা বলে সংবাদ মাধ্যম আজতকের টিম। তিনি বলেন, “মঙ্গলবার তাকে নিয়ে সারাদেশের প্রায় ৬৫ লাখ খেলোয়াড় ড্রিম-১১-এ দল গঠন করে ভাগ্য অন্বেষণ করছিল। মধ্যকার ম্যাচে দুই দলের (অস্ট্রেলিয়া ও ভারত) খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে আমি ১১ জন খেলোয়াড়ের দল তৈরি করেছি। “
এই দলের অধিনায়ক ছিলেন হার্দিক পান্ড্য, যিনি ৩০ বলে ৭১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন। ভারতীয় দল হার্দিক পান্ডিয়ার ইনিংসের সুবিধা না পেলেও আমি অনেক সুবিধা পেয়েছি। সৌরভ বলেন, এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে মা ও বাবার আশীর্বাদ।
তিনি আরও বলেন, “গতকাল রাতে যখন আমি Dream-11-এর ওয়ালেট অ্যাকাউন্ট চেক করেছিলাম, তখন অ্যাকাউন্টে ৭০ লাখ টাকা জমা ছিল। এক কোটি টাকার পুরস্কারের টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। এই তথ্য পাওয়ার পর আমার পরিবার ভীষণ খুশি। ১ কোটি টাকার পুরস্কার জিতে আমি খুবই খুশি।”
ওই যুবক গ্রামেই শিশুদের পড়ায়। সৌরভ কুমার সৌরভ বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র। সৌরভ নিজের গ্রামে টিউশনি পড়ায়। তিনি প্রথম থেকেই ক্রিকেট খেলা খেলতে এবং দেখতে পছন্দ করেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তার বড় ভাই সাগর একজন ভোজপুরি গায়ক, আর তার ছোট ভাই সঙ্গম পড়াশোনা করে।
তিনি টানা অনেক বছর ধরে ড্রিম-১১-এ তার ভাগ্য চেষ্টা করছিলেন। বিজয়ী সৌরভের বাবা ভেঙ্কটেশ সিং বলেন, “আমিও জানতাম না যে ছেলে ড্রিম-১১ গেম খেলছে। গতকাল হঠাৎ করে জানতে পারলাম যে সে এক কোটি টাকা জিতেছে। তার জেতা টাকা তার সামনের ভবিষ্যতের জন্য কাজে লাগবে।”