ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে যুবকদের ‘প্লে বয়েজ’ বানানোর নামে প্রতারিত করা হয় এমন একটি সেক্স র্যাকেট পুলিশের তৎপরতায় ফাঁস হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন ফি এবং হোটেলের অগ্রিম চার্জের নামে প্রতারণাকারী চক্রটি পাটনার পাত্রকার নগর পুলিশ দুই যুবককে গ্রেপ্তার করলে এই চক্রের পর্দা ফাঁস হয়ে যায়। পুলিশ বলছে, এই চক্রের নেতা অর্পিত কুমার। অর্পিত ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে মেয়ের ছবি লাগিয়ে ভুয়া প্রোফাইল আপলোড করত। এরপর অন্যরা বিহার সহ অন্যান্য রাজ্যের ছেলেদের ‘প্লে বয়েজ’ বানানোর জন্য যোগাযোগ নম্বর দিত। অর্পিত মূলত নওয়াদা জেলার ওয়ারসালিগঞ্জের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে যে অবিনাশ এবং নিশান্ত দুজনেই স্নাতক। দুজনেই গত দুই বছর ধরে অর্পিতের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন এবং বিহারের রাজধানী পাটনায় রয়েছেন। বাইপাস থেকে রামকৃষ্ণনগরে একটি রুমও ভাড়া নিয়েছিল তারা। জিজ্ঞাসাবাদে দুজনেই পুলিশকে জানিয়েছে যে প্রোফাইল তৈরি করতে অর্পিত দশটিরও বেশি মোবাইল রাখে। মেয়েটির ছবি লাগিয়ে প্রোফাইল করার পরপরই দুইশ থেকে তিনশত ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসতে থাকে।
যখন লোকেরা রক্তের গ্রুপ, ছবি এবং আধার কার্ডের দাবিতে প্রদত্ত নম্বরে যোগাযোগ করত, তখন তিনি দিল্লি, মুম্বাই সহ অন্যান্য মেট্রোর মহিলাদের সাথে যোগাযোগ করার কথা বলতেন। আড়ালে আসা যুবকদের বলতেন যে আপনাকে একজন ধনী মহিলার সাথে বন্ধুত্ব করতে হবে। এর জন্য আপনাকে রক্তের গ্রুপ, আধার কার্ড সহ ছবি দিতে হবে। আপনাকে শুধুমাত্র এককালীন রেজিস্ট্রেশন ফি এবং হোটেল চার্জ দিতে হবে, তবে এর পরে আপনাকে কোনো মূল্য দিতে হবে না।
বাংলা থেকে কুরিয়ারে সিমকার্ড আনা হয়েছিল:
যে যুবকদের প্রতারণা করা হয়েছিল তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছিল জাল সিমে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, ফোনে কথা বলার জন্য বাংলা থেকে একটি ভুয়া আইডিতে এবং প্রতি সিম কার্ডে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা জমা দিয়ে কুরিয়ারে ডাকা হয়। দুই থেকে তিনজন যুবকের সাথে প্রতারণার পর সিমকার্ড ভেঙ্গে ফেলে দিত ওই ব্যক্তি। এখন তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।