আবারও করোনার দাপট শুরু চিনে ? গোটা বিশ্ব এখন এই সন্দেহই করছে যখন চিনে প্রায় ১৬ মিলিয়ন মানুষকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে এই লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম চিনের শহর চেংডু-তে বলে জানা গিয়েছে। একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে চেংডুতে সংক্রমণের নতুন তরঙ্গের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সতর্কতা হিসেবে এই লকডাউন জারি করা হয়েছে। সমস্ত মানুষকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন বৃহস্পতিবার সন্ধে ৬টা থেকে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পরিবার পিছু একজনকে মুদি এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য প্রতিদিন বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে, যদি কোভিড পরীক্ষা হয়ে থাকে তাদের, প্রশাসনেক পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই নিয়ম মানলে তবেই অনুমতি দেওয়া হবে। টিকাকরণে গতি বাড়িয়েছেন চেংডু প্রশাসন সম্ভাব্য সংক্রমণ রুখতে। সমস্ত বাসিন্দাদের বৃহস্পতিবার থেকে রবিবারের মধ্যে টিকার ডোজ নিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা পরীক্ষা করা হবে সেই সঙ্গে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এছাড়া, নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে একদম প্রয়োজন না হলে, শহর ছেড়েও অন্যত্র যাওয়ার উপরও।
বর্তমান অবস্থা মহামারি নিয়ন্ত্রণে অস্বাভাবিক, জটিল বলে জানিয়েছে চেংডু প্রশাসন। নতুন করে লকডাউন ঘোষণা সংক্রমণ রুখতে এবং সমস্ত নাগরিকের স্বাস্থ্যের নিশ্চিয়তা দিতেই বলে সূত্রের খবর। সরকারি সূত্রে খবর, দক্ষিণ-পশ্চিম চিনের এই শহরে ১ সেপ্টেম্বর নতুন করে ১৫৭ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। ৫১ জন আক্রান্তের মধ্যে উপসর্গহীন। এদিকে, পিপলস ডেইলি চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে যে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে দেশের প্রায় ১০টি শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সব ক্লাস অনলাইনের মাধ্যমে চলছে। নতুন শিক্ষাবর্ষে পড়ুয়ারা এর ফলে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে বলে সরকারি সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে। অনলাইনে ক্লাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পশ্চিম চিনের কিংহাই প্রদেশের রাজধানী জিনিংয়ে। একই সঙ্গে সপ্তাহে ৩ দিন কাজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সংক্রমণ রুখতে। বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন বাকি দিনগুলি।
চিনের ‘জ়িরো কোভিড’ নীতির ওপর জনগণের বিরক্তি ক্রমেই বাড়ছে বলে সূত্রের খবর। জুলাই মাসে দ্বীপ রাজ্য হাইনানে কোভিডের আশঙ্কায় ৮০ হাজারের বেশি পর্যটক আটকে পড়ার ঘটনায় তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদও জানায় পর্যটকরা।