প্রায় দু বছর আগে পৃথিবী পরিচিত হয় এক ভাইরাসের সাথে, সেই মারণ ভাইরাসের নাম ছিল করোনাভাইরাস। সেই থেকে দু বছর পার করে এখনো সম্পূর্ণরূপে বিদায় নেয়নি করোনাভাইরাস। মহামারীর ভয়াবহতা হয়তো কাটিয়ে এসেছে দেশ কিন্তু দেশে করোনার আতঙ্ক এখনো রয়ে গেছে। রূপ বদলাচ্ছে এই ভাইরাস আর তার সাথে প্রতিদিন নতুন করে সংক্রমনের মামলা নথিভুক্ত করা হচ্ছে। গত মাস থেকে আবার একটু একটু করে গতি নিচ্ছিল করোনাভাইরাস সংক্রমণ। কিন্তু কালকের তুলনায় আজকের সংক্রমণ সম্পর্কিত রিপোর্ট -এ কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ২৭২ জন নতুন করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। একই সময়ে এই মহামারী থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৯০০ রোগী। একই সঙ্গে নতুন মামলা নথিভুক্ত হওয়ার পর এখন দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ০১ হাজার ১৬৬। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে বর্তমান সময়ে পজিটিভিটির হার বেড়েছে। এটি এখন ৪.২১ শতাংশে পৌঁছেছে।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, গতকালের তুলনায় করোনার নতুন কেস কিছুটা কমেছে। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার, যা আজ ১৩ হাজারেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯-এর চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৬৬৪ কমেছে। সংক্রমণের দৈনিক হার ৪.২১ শতাংশ, যেখানে সাপ্তাহিক হার ৩.৮৭ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে। এই মহামারী থেকে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪,৩৬,৯৯,৪৩৫ যেখানে মৃত্যুর হার ১.১৯ শতাংশ। একই সময়ে, দেশব্যাপী অ্যান্টি-কোভিড -১৯ টিকাকরণ অভিযানের অধীনে এ পর্যন্ত ২০৯.৪০ কোটি ডোজ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে, দেশে গত ২৪ ঘন্টায় প্রাণ হারিয়েছেন এমন আরও ৩০ জন রোগী মিলেছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গে পাঁচজন রোগী মারা গেছেন, ছত্তিশগড়, দিল্লি এবং কর্ণাটকে তিনজন রোগী মারা গেছে ও দুইজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বিহার, পাঞ্জাব এবং রাজস্থানে ঘটেছে এবং হিমাচল প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, উত্তরাখন্ড এবং উত্তর প্রদেশে একজন করে রোগী মারা গেছে। কত কয়েকদিনে দিল্লিতে করোনায় মৃত রোগী পাওয়া যাওয়ায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা শঙ্কা প্রকাশ করেছে।