Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

প্রথমে কবর, তারপর মৃতদেহ উঠিয়ে চিতায় সৎকার! কেন এমনটা হলো এই ব্যাক্তির সাথে

যুগ যতই এগিয়ে যাক না কেন কিছু কিছু বিষয় যেন আমাদের সমাজ কে আটকে রেখেছে। এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার কথা সামনে এলো সম্প্রতি। সমাজের কিছু বৈষম্য এক ব্যক্তির মৃত্যুর পরও পিছু ছাড়লো না। যার কারনে তার দুবার সৎকার করা হলো বলা যায়। বিষয়টা কি?

আসামের মঙ্গলদোই এর বাসিন্দা প্রাঞ্জল এবং ধরিত্রীর জীবন সর্বদাই সমাজের প্রান্তে ছিল। কিন্তু এক সপ্তাহ আগে তাদের বাবার মৃত্যু তাদের সমাজের বর্ণ প্রথার কঠোরতার আলাদাই রূপ দেখিয়েছিল যেন। উভয়ের বাবা, উমেশ শর্মা, তাদের বাসস্থান থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে পাতাল সিংপাড়ায় গত ৮ই আগস্ট সংক্ষিপ্ত অসুস্থতার পরে মারা যান।

এরপরে চলে আসা এক রীতি অনুযায়ী শ্মশানে দাহের পরিবর্তে পরের দিন উমেশ শর্মার দেহ মাটির নিচে চাপা দেওয়া হয়। এটি করা হয়েছিল কারণ উমেশ শর্মা প্রায় ২৭ বছর আগে একজন সমাজের চোখে “নিম্ন বর্ণের” মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন এবং তারপর থেকে তার পরিবারকে সামাজিকভাবে বয়কট করা হয়েছিল।

কিন্তু এই বিষয়টি জানাজানি হলে চাঞ্চল্য ছড়ায়। জেলা প্রশাসন এবং বিভিন্ন সংস্থার হস্তক্ষেপের পরে, মৃতদেহ মাটি থেকে পুনরায় তোলা হয় এবং শর্মার ছেলে গত ১২ই আগস্ট তার বাবাকে মুখাগ্নি করে চিতায় দাহ করে। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক দাবানলের মত ছড়িয়ে যাওয়ার পরে, স্থানীয় লোকজন “অনিচ্ছাকৃত ভুলের” জন্য ক্ষমা চেয়ে নেয় এবং অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পর্কিত সমস্ত আচারে সহায়তার আশ্বাস দেয়।

ধরিত্রী (বয়স ২০ বছর) বলেন, “আমরা সামাজিক সমাবেশে তুচ্ছ হয়ে বড় হয়েছি। আমাদের অনুষ্ঠানগুলিতে আমন্ত্রণ জানানো তো হতো কিন্তু সেখানে লোকদের থেকে দূরে বসে খেতে বলা হতো সব সময়। মানুষ আমাদের হাতের জলও খায় না।

ছেলে প্রাঞ্জল (২৭) তার স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে পাঞ্জাবে থাকেন। তিনি জানান, “সামাজিক সমাবেশে আমাদের বিচ্ছিন্নভাবে বসতে বলা হত এবং আমরা এতে অভ্যস্তই হয়ে গেছি। একটা সময় এসেছিল যখন আমরা ফাংশনে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম।

উমেশ শর্মার স্ত্রী প্রণিতা দেবী বলেন, তার পরিবার গ্রাম থেকে অনেক দূরে থাকে। তিনি বলেন, “প্রাঞ্জল পাঞ্জাব গিয়েছিলেন, আর ধরিত্রী পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন গুয়াহাটিতে। আমিও তার সাথে গিয়েছিলাম। এই বছরের মার্চে আমি তাকে সেখানেই বিয়েও দিয়ে দিয়েছি।” প্রণীতা দেবী বলেছিলেন যে তিনি তার স্বামীর মুখাগ্নি হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন এবং সকলে এখন আশ্বাস দিয়েছেন যে তাকে বৈদিক আচার-অনুষ্ঠান মেনে চলতে দেওয়া হবে।

Related posts

৮৯-এর স্বামীর অতিরিক্ত যৌন চাহিদা! না সহ্য করতে পেরে হেল্পলাইন নম্বরে ফোন ৮৭-এর বৃদ্ধার

News Desk

দেশে ফের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ, গত ২৪ ঘন্টায় করোনা সংক্রমন বাড়লো ৪০ শতাংশ

News Desk

হোয়াটসঅ্যাপে (Whatsapp) -এর ডিলিট হওয়া মেসেজ পড়তে চান? জেনে নিন সহজ উপায়

News Desk