Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

রাতে স্ত্রীর মোবাইলের স্ক্রিন অন! সন্দেহের বশে গর্ভবতী স্ত্রীর সাথে ভয়ঙ্কর কান্ড ঘটালেন স্বামী

উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ জেলায় এক চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনা সামনে এসেছে। নন্দগ্রাম থানা এলাকায় গর্ভবতী স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে সন্দেহ করে তার গলা কেটে হত্যা করেছে স্বামী। অপরাধ করার পর আসামি থানায় পৌঁছে পুলিশকে জানায়, আমি আমার স্ত্রীকে হত্যা করেছি। আমাকে গ্রেপ্তার করুন। এ কথা শুনে পুলিশ চমকে যায়। অভিযুক্ত স্বামীকে নিয়ে তার বাড়িতে পৌঁছয় পুলিশ। তখন দেখা যায় স্ত্রীর রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। আপাতত অভিযুক্ত কে জিজ্ঞাসাবাদে ব্যস্ত পুলিশ।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত স্বামী অঙ্কিত জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী তনুর চরিত্র নিয়ে সন্দেহ ছিল তার মনে। সে গভীর রাত পর্যন্ত কোনো না কোনো ছেলের সঙ্গে কথা বলত। এই ব্যাপারটা সে অনেকবার খেয়াল করেছে, কিন্তু তনুকে কোনদিন কিছু বলে নি। ঘটনার দিন রাত আড়াইটার দিকে হঠাৎ তার ঘুম ভাঙে। দেখেন বউ কারো সাথে কথা বলছে। তার মোবাইলের স্ক্রিন অন ছিল। এটা দেখে তিনি রেগে যান। রান্নাঘর থেকে ছুরি এনে তনুর গলা কেটে ফেলেন। তবে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কোন ছেলের সঙ্গে তার স্ত্রী কথা বলতেন তা বলতে পারেননি অঙ্কিত।

নিহতের বাবা বলেন- গাড়ির জন্য মেয়েকে মেরেছে:

একইসঙ্গে ঘটনার খবর পেয়ে তনুর পরিবারে তোলপাড় শুরু হয়। নিহত তনুর বাবা রমেশপাল জানান, প্রায় ছয় বছর আগে অঙ্কিতের সঙ্গে মেয়ে তনুর বিয়ে হয়। জামাই অঙ্কিত সাহেবাবাদ থানা এলাকার সাতমোলা কোম্পানিতে কাজ করেন। বিয়ের পর কিছু দিন দুজনের মধ্যে সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। এরপরই মেয়ে তনুকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে জামাই। সে বলত, তোমার মায়ের বাড়ি থেকে যৌতুক নিয়ে আসো। বিয়েতে যৌতুক কম দেওয়া হয়েছে। তার একটা ২৫ লাখ টাকার গাড়ি চাই। এ কারণে অঙ্কিত প্রতিদিন তনুকে মারধর করত।

বাবা রমেশপাল জানান, আমরা চেয়েছিলাম মেয়ের বাড়িটা ঠিক থাকুক, তাই মেয়ে ও জামাই দুজনকেই বোঝানোর চেষ্টা করেছি। এদিকে কন্যা তনুর ঘরে একটি সন্তানের জন্ম হয়। ঘরে ছোট বাচ্চা এলে মনে হতো এখন জামাই অঙ্কিতের উন্নতি হবে, কিন্তু অঙ্কিতের কোনো উন্নতি হয়নি। মেয়েকে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত চাপ দিচ্ছিল সে। কয়েক বছর পর তনু আবার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লেও অঙ্কিত তাকে হয়রানি করা বন্ধ করেনি।

এ সময় নিহত তনুর মামা অনুজ পাল জানান, ভোর চারটার দিকে বাড়িতে জামাই অঙ্কিতের ফোন আসে। আমি শুধু ফোন কল রিসিভ করে হ্যালো বলার সাথে সাথে অঙ্কিত বললো তোমরাই তোমাদের মেয়ে তনুকে মেরেছ। এসে লাশ নিয়ে যেও। অনুজ পাল বলেন, একথা শুনে আমার পায়ের তলায় মাটি সরে গেল। কেন মেরেছে জানতে চাইলে সে বলল তনু আমাকে ছুরি দিয়ে মারতে এসেছে। বাঁচাতে গিয়ে গলায় ছুরি আটকে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।

অন্যদিকে অঙ্কিতের অভিযোগ প্রসঙ্গে বাবা রমেশপাল বলেন, আমার মেয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। তার নিজের চরিত্র ভালো না। শুধু যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। অন্যদিকে নন্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুনেন্দ্র সিং বলেছেন যে অভিযুক্ত স্বামী অঙ্কিত সেই ছেলের নাম প্রকাশ করেনি যার উপর সন্দেহ করে সে তার স্ত্রীকে খুন করেছে। আপাতত অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যাতে খুনের সঠিক কারণ জানা যায়। প্রসূতির স্বজনরাও যৌতুকের জন্য মৃত্যুর অভিযোগ করছেন। উভয় দিকই খতিয়ে দেখা হবে।

Related posts

দীঘায় এসে কাঁকড়া খেয়ে চরম পরিণতি যুবকের! হোটেলের ঘর থেকে মারাত্মক অবস্থায় উদ্ধার

News Desk

মোবাইলের পাসওয়ার্ড নিজের সঙ্গীর থেকে গোপন রাখছেন? কতটা উচিৎ?

News Desk

বান্ধবীর সঙ্গে লজে গিয়েছিল যুবক, পকেটে যৌন উত্তেজক ওষুধ.. শেষে যা পরিণতি হলো যুবকের

News Desk