বিহারের দারভাঙ্গা থেকে সামনে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। যেখানে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবার ঠিক ১৪ দিন পরই প্রেমিকের সঙ্গে পলাতক এক স্ত্রী। নিজের বিয়ের সব গহনা ছাড়াও জায়ের গয়না ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় সে। এখন স্বামী তার ঠগ স্ত্রীর এহেন কার্যকলাপের বিচারের জন্য দোরে দোরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তিনি জেলার পুলিশ ক্যাপ্টেন থেকে শুরু করে মন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করলেও পুলিশ ওই ঠগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এদিকে পাঞ্জাব থেকে প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। থানা পুলিশের কথা জানতে পেরে স্ত্রী তার স্বামীকে ফোন করে বলেন যে তিনি আগামী ১০ দিনের মধ্যেই তার টাকা ফেরত দেবেন।
ঘটনাটি দারভাঙ্গা জেলার রতনপুর পঞ্চায়েতের যেখানে গৌতম কুমারের বিয়ে হয়েছিল ১লা জুন। সীতামারহি জেলার বাথুলের বাসিন্দা শিল্পীকে বিয়ে করেছিলেন গৌতম। এরপর ১৫ জুন প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান স্ত্রী।
বিয়ের আগে থেকেই স্ত্রীর সম্পর্ক ছিল:
প্রেমিকের সঙ্গে পালানোর আগে শিল্পী তার শ্বশুরবাড়ির গয়না, জায়ের গহনা ও বিয়ের ৭০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। ১৫ জুন স্ত্রীর প্রেমিকের সঙ্গে পলাতক হওয়ার পর ১৬ জুন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন স্বামী গৌতম। স্বামী জানান, বিয়ের আগে তার স্ত্রী শিল্পীর প্রেম ছিল। মালিকপুর গ্রামের মনোজ রাউতের ছেলে দীপক রাউতের সঙ্গে পরকীয়া চলছিল স্ত্রীর।
স্বামী ফোন করে স্ত্রীকে বুঝিয়েছিলেন:
বিয়ের কিছুদিন পর স্বামী সুরাটে চলে যান কাজে। কয়েকদিন পর তার বৌদি জানায় যে তার স্ত্রী অন্য এক যুবকের সাথে কথা বলে। এরপর স্ত্রীকে ডেকে সমাজে মান সন্মান হানির কথা বুঝিয়ে বলেন স্বামী। স্বামীর কথায় পাত্তা না দিয়ে স্ত্রী সেই একই দিনে নগদ টাকা ও গয়না নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায়।
১০ তারিখের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা:
এবার ঘটনায় এসেছে নতুন মোড়। স্বামী থানায় মামলা করলে ৪ আগস্ট স্ত্রীর ফোন আসে গৌতমের কাছে। ফোনে তার স্ত্রী বলছিলেন ভুলে যাও কি হয়েছে, সে তার ভুল স্বীকার করে। মহিলা বলেন তিনি যেন তাকে ক্ষমা করেন। সে ১০ তারিখের মধ্যে তার গয়না ও টাকা ফেরত দেবে। এ বিষয়ে গৌতম বলেন, স্ত্রী তাকে প্রলুব্ধ করছে, আর কিছুই না। পাঞ্জাবে প্রেমিকের সঙ্গে রয়েছেন তিনি। তার কিছু ছবি ও ভিডিও রয়েছে। পাঞ্জাবের স্বর্ণ মন্দিরে প্রেমিকের সঙ্গে একটি ভিডিওতে দেখা যায় তাকে। স্ত্রী পলাতক থাকায় আর্থিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ওই যুবক। ন্যায়বিচারের আশায় তিনি এসএসপি দরভাঙ্গা ও মন্ত্রী জীবেশ কুমারের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু তিনি কোথাও থেকে কোনো সাহায্য পাননি এখনও।
