বেশ কিছুটা স্বস্তি মিলল দেশের করোনা সংক্রমনে তবুও আরও সতর্ক করলো কেন্দ্র। দেশের দিল্লি, কেরল, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, তামিলনাড়ু এবং তেলেঙ্গানা নিয়ে মোট এই ৭ রাজ্যে করোনার পজিটিভিটি রেট সবথেকে বেশি এসব রাজ্যে চিঠি দিল কেন্দ্র। আবারও কড়া বার্তা দিল কেন্দ্র।
অবশ্য রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আগের দিনের থেকে সামান্য কমেছে দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ৭৩৮ জন। ফলে ৪ কোটি ৪১ লক্ষ ৪৫ হাজারের কাছাকাছি দেশের মোট করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা। যদিও শেষ ২৪ ঘন্টায় সংক্রমণ কমলেও বেড়েছে অ্যাকটিভ কেস। বর্তমানে দেশের সক্রিয় রোগী ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৯৩৩ জন। অ্যাকটিভ কেসের হার বর্তমানে গোটা দেশে ০.৩১ শতাংশ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ভারতে ৪০ জন। কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৬৮৯ দেশে এখনও পর্যন্ত। করোনা গ্রাফ এখনও বেশ কয়েকটি রাজ্যে উদ্বেগজনক। কেরল, তামিলনাড়ু, কর্ণাটকের মতো রাজ্যগুলির করোনা পরিসংখ্যান এখনও চিন্তায় রাখছে। নতুন করে দিল্লি এবং মুম্বই নিয়ে চিন্তায় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে ৪ কোটি ৩৪ লক্ষ ৮৪ হাজার ১১০ জন এখনও পর্যন্ত করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। ৯৮.৫০ শতাংশ সুস্থতার হার। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে যে , প্রায় ২০৬ কোটি ২১ লক্ষ জন দেশে করোনার টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। টিকা পেয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টাতেই প্রায় ২৯ লক্ষ। টিকাকরণের পাশাপাশি টেস্টিংয়েও করোনা রোগী চিহ্নিত করতে জোর দেওয়া হচ্ছে। দেশে ৪ লক্ষ ১১০ জনের গতকাল নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।