জাতীয় রাজধানী দিল্লি সহ এনসিআরে আবারও কোভিডের কারণে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে নতুন নতুন করোনা রোগীর গ্রাফ। পজিটিভিটির রেট থেকে করোনার সক্রিয় রোগ, হঠাৎই চরচরিয়ে বাড়ছে। ৪ঠা আগস্ট দিল্লিতে ২২০২ জন নতুন করোনা রোগী পাওয়া গেছে। যেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ জন।
দিল্লিতে মাঙ্কিপক্স থেকে করোনা সংক্রমণ এখনও উদ্বেগের কারণ। রাজধানীতে করোনা সংক্রমণের ইতিবাচক হার ১১.৮৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এর আগে ৪ঠা ফেব্রুয়ারি শেষ দেশের রাজধানীতে ২,২৭২ টি করোনভাইরাস কেস পাওয়া গিয়েছিল এবং ২০ জন মারা গিয়েছিল। দিল্লিতে, ৩রা আগস্ট, করোনা রোগীদের ইতিবাচকতার হার ১১.৬৪ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছিল, যেখানে কোভিডের ২০৭৩ টি কেস পাওয়া গেছে। যেখানে ৬ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আমরা যদি মৃত্যুর হারের পরিসংখ্যান দেখি, ২৫শে জুনের পরে আবার এই দিল্লিতে একদিনে কোভিড-এ এত রোগী মারা গেল। যেখানে ২রা আগস্ট, কোভিড সংক্রমণের কারণে দিল্লিতে ১,৫০৬ টি নতুন কেস পাওয়া গেছে, এবং তিনজন রোগী মারা গেছে। একই সময়ে, ইতিবাচকতার হার ছিল ১০.৬৯ শতাংশ।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দিল্লিতে ৩৫৮৭ জন রোগী বাড়িতে বিচ্ছিন্ন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪০৫ জন। মেডিকেল বুলেটিন অনুসারে, দিল্লিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১৭৫। কন্টেনমেন্ট জোন ২০০-এর কাছাকাছি পৌঁছেছে। করোনার পরিসংখ্যান দেখে চিন্তা বাড়ছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। কারণ করোনায় প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা কমে যাওয়ার বদলে বাড়ছে। এর পাশাপাশি কোভিড রোগীর বৃদ্ধিও উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে।
দিল্লির পাশাপাশি এনসিআরেও ছড়িয়ে পড়ছে করোনা। দিল্লি সংলগ্ন গুরুগ্রামে কোভিডের সক্রিয় কেস এক হাজার ছাড়িয়েছে। যেখানে ৪ঠা আগস্ট, গুরুগ্রামে করোনার ৩৬০ টি নতুন কেস পাওয়া গেছে। গুরুগ্রামে এখন করোনার ১১৩৭ টি করোনা সক্রিয় কেস রয়েছে। শুধুমাত্র ১লা থেকে ৩রা আগস্ট পর্যন্ত দিল্লিতে সক্রিয় মামলা ১৩৬৩ বেড়েছে।
যদি আমরা সারাদেশের পরিসংখ্যান সম্পর্কে কথা বলি, তবে ৪ঠা আগস্ট, গত ২৪ ঘন্টায় ১৯,৮৯৩ টি করোনার নতুন কেস নথিভুক্ত হয়েছে। যা ৩রা আগস্টের তুলনায় ১৬.১ শতাংশ বেশি। এটা স্পষ্ট যে দিল্লি সহ সারা দেশে কোভিড সংক্রমণের গতি দ্রুত বাড়ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে প্রাপ্ত তথ্য সাক্ষ্য দিচ্ছে যে দেশের ৫ টি রাজ্য রয়েছে যেখানে করোনার গতি এখন টপ গিয়ারে রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দিল্লি, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, কেরালা এবং তামিলনাড়ু। ভারতে করোনা শুরু থেকে এই যাবৎ কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ২০ লাখ ৮৭ হাজারেরও বেশি মানুষ।