পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপর ইডির দ্রুত পদক্ষেপের পরে, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতি মহল এখন একটা প্রশ্নেই সরগরম যে এরপর কে? রাজ্যের রাজনীতি ঘিরে বারবার এই প্রশ্ন সামনে আসছে। সূত্রের খবর, এই রাজ্যের রাজনৈতীক ও আমলাতন্ত্রে এমন অনেক বড় মাছ রয়েছে যা দুর্নীতির জালে জড়িয়ে পড়তে পারে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার টার্গেটে এমন অনেক মুখ রয়েছে যাদের রাডারে নেওয়া যেতে পারে।
সংবাদ সংস্থা AajTak এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে যে PWD মন্ত্রী মলয় ঘটক, তৃনমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পারস অধিকারী, তৃনমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য এবং পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা সচিব মনীশ জৈন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছেন দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারি ঘিরে।
জানিয়ে রাখি, শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ইতিমধ্যেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পারস অধিকারী। এর বাইরে একদিন আগে মানিক ভট্টাচার্যকেও এসএসসি কেলেঙ্কারিতে জেরা করেছে ইডি। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা সচিব মনীশ জৈনও কেন্দ্রীয় সংস্থার নজরে রয়েছেন এবং তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
এদিকে, পার্থ চ্যাটার্জির ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের উপর ইডি-র ক্রমাগত পদক্ষেপের পরে আর তার আরেকটি ফ্লাট থেকেও বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের পরে এখন পার্থ চ্যাটার্জির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে তৃনমূল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তৃনমূল সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকের পরে, তৃনমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “যদি কোনও ব্যাক্তি দলের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অর্থ সংগ্রহের ব্যবস্থা তৈরি করার চেষ্টা করে তবে দল তা সহ্য করবে না।” এছাড়া নবান্নে তার কেবিন থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামফলকও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখা যাক যে ইডি এখনও পর্যন্ত বাংলার মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জির ঘনিষ্ঠ সহযোগী অর্পিতা মুখার্জির দুটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা নগদ পেয়েছে। গত সপ্তাহে অভিযানে, প্রথম অ্যাপার্টমেন্টে ২১.৯০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে, এবং বুধবার রাতে তার দ্বিতীয় বাড়ি থেকে ২৭.৯০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে।