বিশ্বে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ বা বৃহন্নলাদের অধিকার আদায়ের লড়াই বহুদিন ধরেই চলছে। তাদের সমান অধিকার দেওয়ার কথাও বলা হয়। এরই ফল হল, এখন বেশিরভাগ ফর্মে নারী-পুরুষের পাশাপাশি লিঙ্গের জন্য উল্লেখিত বক্সে ট্রান্সজেন্ডারের বিকল্পও রয়েছে। এ ছাড়া পাবলিক টয়লেটেও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য আলাদা জায়গা রাখা শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনও বিশ্বের অনেক দেশ আছে যেখানে বে বৃহন্নলাদের জন্য আলাদা কারাগার করা হয়নি। এদের বেশির ভাগ সময়ই মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট কারাগারে রাখা হয়ে থাকে।
সম্প্রতি নিউ জার্সির মহিলা কারাগার থেকে এক অদ্ভুত ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এখানে একসঙ্গে গর্ভবতী হয়েছেন দুই মহিলা বন্দি। যখন তদন্ত করা হয়, তখন দেখা যায় যে কারাগারে বন্দী এক তৃতীয় লিঙ্গের বন্দীর দ্বারা তারা দুজনেই গর্ভবতী হয়েছিলেন। এরপরই জেল থেকে বের করা হয় তৃতীয় লিঙ্গের বন্দিকে। এরপর সেই বন্দীকে পুরুষ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এই ঘটনা সবাইকে অবাক করেছে। কেউ বুঝতে পারছে না তৃতীয় লিঙ্গের বন্দী নারীকে কিভাবে গর্ভবতী করল?
ট্রান্সজেন্ডার ডেমি মাইনর, যার বয়স ২৭ বছর, কিছুদিন আগে নিউ জার্সির একমাত্র মহিলা কারাগারে বন্দী হয়েছিলেন। সেখানে ইতিমধ্যেই ২৭ জন বৃহন্নলা বাস করত। গর্ভবতী বন্দীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, দুজনেই স্বীকার করে যে তাদের একজন ট্রান্সজেন্ডারের সাথে সম্পর্ক ছিল। আর দুজনেরই তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও গড়তো। তবে, এখন এই মহিলাদেরও আদালতে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে কারণ জেলের ভেতরে যেকোনো ধরনের সম্মতিমূলক যৌন সম্পর্কও বেআইনি।
জেলে বৃহন্নলাদের অবস্থা আরও খারাপ
কারাগারে বৃহন্নলাদের অবস্থা করুণ। নারী কারাগার থেকে পুরুষ কারাগারে পাঠানো এই ট্রান্সজেন্ডার বন্দি মানুষের সঙ্গে তার দুঃখ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। তিনি জানান, তাকে জোর করে পুরুষ কারাগারে রাখা হয়েছে। যেখানে অনেক পুরুষ জেলর তল্লাশির অজুহাতে তাকে স্পর্শ করে। এ ছাড়া তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়। এমতবস্থায় তিনি তাকে আবারও মহিলা কারাগারে ফেরত পাঠানোর জন্য কর্মকর্তাদের কাছে সুপারিশ করছেন। এখন তাকে আরও ২৯ বছর জেল খাটতে হবে। এমতাবস্থায় তিনি লিখেছেন, এভাবে তিনি টিকে থাকতে পারবেন না।