রাজ্য রাজনীতি সরগম পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তার হওয়া ঘিরে। শিক্ষক নিয়োগ মামলায় বিপুল দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে এক্ষুনি দল থেকে বহিষ্কার না করলেও কিছুটা দূরত্ব যে বাড়িয়েছে তা স্পষ্ট তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যক্রমে। বিশেষত উদ্ধার হওয়া বিপুল ২১ কোটি টাকা এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়র সাথে তৃণমূলের যে কোন যোগ নেই সে কথার সাফাই গাইতে ব্যস্ত তারা।
গ্রেফতারের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দূরত্ব রাখার বার্তা দিল তৃণমূল কংগ্রেস। দল ও সরকারের পদ থেকে অপসারণ না করেও রবিবার নিজেদের দূরত্ব স্পষ্ট করে বোঝানো হয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কি মত? নেত্রীর সাথে কি কথা হয়েছে? গ্রেফতারীর সময়েই পার্থ চ্যাটার্জি স্পষ্ট করেছিলেন যে তিনি নেত্রীকে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন কিন্তু যোগাযোগ হয়ে উঠতে পারেননি। দল তার মুখ্যমন্ত্রী কে ফোন করার বিষয়টি ঘিরে অস্বস্তিতে এ কথা স্পষ্ট। বিষয়টিকে ‘অবাঞ্ছিত’ এবং ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলেই ব্যাখ্যা করলেন অসন্তুষ্ট দলীয় নেতৃত্ব।
সূত্রের খবর, নিয়ম অনুযায়ী শনিবার সকাল বেলা গ্রেফতারের আগে ইডি-র আধিকারিকেরা পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর কাছে জানতে চান, তিনি কাউকে তার বিষয়ে জানাতে চান কি না। তখনই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করতে চান পার্থ। রাতে তিন বার এবং সকালে এক বার ফোনও নাকি ফোন করার চেষ্টাও হয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সাড়া দেননি। কিন্তু এই কাজের জন্য ইডি-র নথিতে (অ্যারেস্ট মেমো) মুখ্যমন্ত্রী ও একটি ফোন নম্বর উল্লেখিত করা হয়। তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ সূত্রে খবর, তাতেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর উপরে চটেছে তৃণমূল। কুণাল ঘোষ বক্তব্য রাখার সময় বলেন, ‘‘এটা হয়ে থাকলে তা অবাঞ্ছিত এবং অপ্রয়োজনীয়। মুখ্যমন্ত্রী এ সকলের কিছুই জানেন না।’’
তবে তৃণমূলের মুখপাত্র থেকে নেতারা যাই বলুক না কেন বিরোধীরা এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না। যেখানে তৃণমূল তথা মমতা ব্যানার্জির এত ঘনিষ্ঠ পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই বিপুল দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে সেখানে মুখ্যমন্ত্রী কিছুই জানেন না এই তত্ত্ব মানতে নারাজ তারা।