স্বামীর ছবির পিছনে লেখা আছে ‘আমি প্রতারক নই’। পাশাপাশি মহিলা অতিথি শিক্ষিকা তার হাতে লিখেছেন, ‘আমি আমার নিজের ইচ্ছামত জীবন দিচ্ছি। মা, বাবা, ভাই, আমি দুঃখিত। আমার মঙ্গলই আমার জীবন কেড়ে নিচ্ছে’।
মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে শ্বশুরবাড়িতে এক মহিলা অতিথি শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন পুলিশকে জানিয়েছে, পুত্রবধূ আত্মহত্যা করেছে অথচ নিহতের পরিবারের সদস্যরা একে হত্যাকাণ্ড বলছে। নিহতের হাতের তালুতে কথিত আত্মহত্যার নোটটিও লেখা রয়েছে। যেখানে লেখা আছে সে তার নিজের ইচ্ছামত জীবন দিয়ে দিচ্ছে।
পুলিশ জানায়, প্রায় ৩ বছর আগে ভোপালের বাসিন্দা সুভাষ সাহুর সঙ্গে রাইসেনের বাসিন্দা ইন্দুর বিয়ে হয়। ইন্দু একটি সরকারি স্কুলের অতিথি শিক্ষক ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে ইন্দুর স্বামী সুভাষ পুলিশকে জানান, তার স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গিয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় এবং নিহতের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ মৃতদেহের কাছে স্বামীর ছবি পায়, যার পিছনে লেখা ছিল ‘আমি প্রতারক নই’। এ ছাড়া মৃত গৃহবধূর হাতের তালুতে লেখা ছিল, ‘আমি আমার নিজের ইচ্ছায় জীবন দিচ্ছি। মা, বাবা, এবং ভাই, আমি দুঃখিত। আমার মঙ্গল আমার জীবন কেড়ে নিয়েছে’। এই দুটি হাতের লেখাও মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ওই নারীর স্বামী জানান, তার স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন কিন্তু বধূর বাড়ির লোক মেয়েকে হত্যার অভিযোগ করেছেন শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, জামাই তাদের মেয়েকে হয়রানি ও সন্দেহ করত, যার জেরে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। কিন্তু দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে মেয়ে ফোনে কথা বললে সব স্বাভাবিক আছে বলেই জানান। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরই তার মৃত্যুর খবর আসে। এমন ক্ষেত্রে সে নিজে এই পদক্ষেপ নিতে পারে না বলেই বধূর পরিবারের সকলের বিশ্বাস। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।