কারো ভক্ত হওয়া, তার মতো পোশাক পরা, চলাফেরা করা এক জিনিস, কিন্তু তার মতো হুবহু দেখার আকাঙ্খা থাকা বেশ অদ্ভুত জিনিস যা ঘিরে বেশিরভাগ মানুষ প্রায়শই পাগলামি করতে শুরু করে। এ জন্য অনেকেই মুখ বা শরীরের অন্যান্য অংশে অস্ত্রোপচারও শুরু করেন। এমনই কিছু করেছেন ব্রাজিলের এক মডেল যিনি তার প্রিয় মডেলের মতো দেখতে চেয়েছিলেন। এর জন্য তিনি কোটি কোটি টাকা খরচ করেছেন কিন্তু এখন তিনি তার আসল চেহারা আবার ফিরে পেতে চান।
নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রাজিলে জন্মগ্রহণকারী ২৯ বছর বয়সী জেনিফার প্যামপ্লোনা আমেরিকান মডেল ও রিয়েলিটি টিভি তারকা কিম কার্দাশিয়ানের একজন ডাই-হার্ড ফ্যান। সে ছোটবেলা থেকেই কিমকে ভালবাসত। কিমের মতো দেখতে তার ক্রেজ এমন ছিল যে তিনি কেবল পোশাকই নয়, কিমের মতো দেখতেও হবে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এ জন্য তিনি কোটি কোটি টাকা জলের মতো বইয়ে দেন।
৪ কোটি টাকায় অস্ত্রোপচার করালেন এক মহিলা:
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিমের মতো দেখার আকাঙ্খায় মোট ১২ বছর ধরে জেনিফার ৪০টিরও বেশী সার্জারি করেছেন, যার জন্য তিনি ৪ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় করেছেন। ২০১০ সালে, যখন তার বয়স ১৭ বছর, তার প্রথম অস্ত্রোপচার হয়েছিল। সেই সময়ে, কিম কার্দাশিয়ান আমেরিকান টিভি জগতে একটি বড় নাম হওয়ার প্রায় দ্বারপ্রান্তে ছিলেন। প্রথম অস্ত্রোপচারের পর এই বিষয়টি তার ভক্তর নেশা হয়ে দাঁড়ায়। তিনি বাট ইমপ্লান্ট করেছেন, ফ্যাট ইনজেকশন নিয়েছেন, ঠোঁট, গাল, নাক থেকে শুরু করে নিজেকে পুরোপুরিই পরিবর্তন করেছেন। ধীরে ধীরে, যখন তিনি এত অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন, লোকেরা তাকে কিম কার্দাশিয়ানের মতো দেখতে লাগছে এটা বলা শুরু করেছিল, যা তিনি মোটেও পছন্দ করতেন না। তার মনে হতো তার আসল পরিচয় যেন কোথাও হারিয়ে গেছে। তার ইনস্টাগ্রামে তার ১ মিলিয়নেরও বেশি ফলোয়ার ছিল, কিন্তু তাদের সবাই ফলো করতেন কারণ তিনি কিমের মতো দেখতে।
আগের মতো মুখ পেতে আবারও লাখ লাখ টাকা খরচ করলেন:
ধীরে ধীরে জেনিফার বুঝতে পারলেন যে তিনি অস্ত্রোপচারে আসক্ত। তারপর সে তার পুরানো চেহারা ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়। তিনি ইস্তাম্বুলে একজন ডাক্তারকে খুঁজে বার করেন এবং নাক, চর্বি অপসারণ, মুখ, গলা ইত্যাদি সংক্রান্ত অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন যার জন্য তাকে আবারও ৯৫ লাখ পর্যন্ত টাকা খরচ করতে হয়েছিল। আগের মতো মুখ ফিরিয়ে আনতে গিয়ে তারও ইনফেকশন হয়, এরপর ৩ দিন তার মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তবে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন।