মধ্যপ্রদেশে ঘটেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। সেখানকার রঘুনাথপুর থানা এলাকার রিজেন্তা গ্রামের কাছে চম্বল নদীর তীরে একটি ১০ বছরের ছেলে আতর সিং কেওয়াট নদীর তীরে বালিতে খেলছিল। তখন আচমকাই এক কুমির নদীর জল থেকে উঠে আসে। ঘটে যায় এক মর্মান্তিক ঘটনা। বিষয়টি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুরো গ্রামটিকে ঘিরে রেখেছে পুলিশ আর বনকর্মীরা।
আসলে নদীর চরে খেলতে থাকা ১০ বছরের বালককে নদীর একটি কুমির গিলে ফেলেছে। গ্রামবাসীরা ওই কুমীরটিকে শিশুটিকে গিলে ফেলতে দেখেন। দৌড়ে পালানোর সময় কুমিরটি তাকে গিলে ফেলে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও বিপুল জনতা জড়ো হয়েছে। শিশুটিকে উদ্ধারের অপেক্ষায় বন বিভাগ ও চিকিৎসকরা।
ঘটনাটি রঘুনাথপুর থানা এলাকার রিজেন্তা গ্রামের কাছে চম্বল নদীর তীরে। জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রিজেন্তা গ্রামের ১০ বছরের ছেলে আতর সিং কেওয়াট নদীর তীরে বালিতে খেলা করছিল। তখন কুমিরটি নদীর জল থেকে উঠে এসে হঠাৎ শিশুটির গায়ে ধাক্কা দেয়। কেউ কিছু বোঝার আগেই শিশুটিকে গিলে ফেলেন তিনি।
শিশু বালিতে খেলছে:
কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন কুমিরটিকে শিশুটিকে গিলে ফেলতে দেখে। তারা দেরি না করে কুমিরটিকে ধরে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে। পেট থেকে বাচ্চা বের করার চেষ্টাও শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশও বিপুল জনতার সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। গ্রামবাসীরা কুমিরের মুখে কাঠ আটকে তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছে।
দড়ি দিয়ে বাঁধা কুমির:
গ্রামবাসীর দাবি, শিশুটি এখনও কুমিরের পেটে বেঁচে আছে। এখন প্রশ্ন উঠছে কীভাবে কুমিরের পেট থেকে বের করা হবে শিশুটিকে। ঘটনাস্থলে রঘুনাথপুর থানার পুলিশও উপস্থিত রয়েছে। তিনি বারবার গ্রামবাসীদের নির্দেশ দিচ্ছেন যে কুমির যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সমস্ত গ্রামবাসী বন কর্মীরা এবং বন্যপ্রাণী ডাক্তার ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর জন্য অপেক্ষা করছে। যাতে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কুমিরের পেট থেকে শিশুটিকে সরানোর কার্যক্রম শুরু করা যায়। এখন কি হয় সেই প্রতীক্ষায় উৎকঙ্খার প্রহর গুনছেন সকলে।